নির্ধারিত সময় ঘোষণা হতে চলেছে টেট পরীক্ষার ফলাফল। ১১ই ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছিল ফলাফল নিয়ে। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল ঘোষণা করেছিলেন এবারে অনেক তাড়াতাড়ি ফল প্রকাশ করা হবে সেই সঙ্গে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে। উত্তরপত্রের সঙ্গে সঙ্গে ওএমআর শিট প্রকাশ করা হচ্ছে।
এ বছর টেট পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের এনা সিনহা। দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন চারজন তারা হলেন হুগলির মৌনিসা কুন্ডু পশ্চিম মেদিনীপুরের মেঘনা চক্রবর্তী দীপিকা রায় ও পূর্ব বর্ধমানের অদিতি মজুমদার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চারজন তারা উত্তর ২৪ পরগনার মেহেদী হাসান পূর্ব মেদিনীপুরের বিকাশ ভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের মনামী অধিকারী এবং বাঁকুড়ার প্রলহাদ মণ্ডল।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আগেই জানিয়েছিল রাজ্যে মোট ১১৭৫৬ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। অথচ পাস করেছেন এক লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন। কিন্তু এদের কি হবে এরা কি আদৌ চাকরি পাবেন! টেট পাস করলেও বহু চাকরিপ্রার্থী চাকরি থেকে বঞ্চিত থাকবেন কারণ কোন জেলায় কতগুলি শূন্য পদ রয়েছে সে ব্যাপারে আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী শূন্য পদ ছাড়াও প্যারা টিচারদের জন্য কত সংখ্যক শূন্য পদ রয়েছে এই ব্যাপারেও নীতি নির্দেশিকা জানিয়ে দিয়েছিল পর্ষদ। পর্ষদের তরফে দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রাজ্যের কতগুলি জেলায় কত শূন্য পদ রয়েছে এক নজরে দেখে নিন।
শিলিগুড়ি জেলায় শূন্য পদ ১৮৫।
কোচবিহার জেলায় শূন্য পদ ৪৩৬। উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় শূন্য পদ যথাক্রমে ৬০২ এবং ২৬১। জলপাইগুড়ি জেলায় শূন্য পদ ৩৭৬। আলিপুরদুয়ার জেলায় শূন্য পদ ১৯৬ মালদা জেলায় শূন্য পদ ৪৫৪ মুর্শিদাবাদ জেলায় ৬৬৯ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মোট শূন্য পদ ১৪৫ পূর্ব বর্ধমান জেলার ৭৮৫!
হুগলি হাওড়া দুই ২৪ পরগনা জেলায় শূন্য পদ যথাক্রমে ৮৬০,৯৭৫, ৭৮০ এবং ১৩৩৮। ঝাড়গ্রাম কলকাতা জেলায় শূন্য পদে ৬৯১ ও ২৩২। বাঁকুড়া জেলায় শূন্য পদ ২৩৮ পুরুলিয়া জেলায় শুন্য পদ ৭৩১। তাহলে বুঝতেই পারছেন পাশ করলেও অনেকের ভাগ্যেই শিকে ছিরবে না।