ভূতের গল্প শুনতে পড়তে কিংবা টিভির পর্দায় ভূতের সিনেমা দেখতে কে না ভালবাসে? ভূতে বিশ্বাস থাক বা না থাক, ভূত নিয়ে মানুষের আগ্রহ কিন্তু কিছু কম নয়। এজন্যই তো যখনই কোথাও ভূতের গল্প ওঠে বা সত্যি ভূতের গল্প নিয়ে আলোচনা চলে, মানুষ সেখানে টানটান উত্তেজনা অনুভব করতে থাকেন। ভূত আছে না নেই, এই নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। তবে জানেন কি কলকাতাতেই এমন একটি বাড়ি রয়েছে যেখানে নাকি ভূতের উপদ্রব রয়েছে?
উত্তর কলকাতার আহিরীটোলায় রয়েছে প্রায় ২০০ বছরের পুরনো একটি বাড়ি। যে বাড়িটিকে পুতুল বাড়ি বলেই চেনেন এলাকার বাসিন্দারা। বহু গুজব রহস্য, ছড়িয়ে রয়েছে এই বাড়িটিকে কেন্দ্র করে। বাড়িতে থাকা তো দূরের কথা, রাত্রেবেলা বাড়ির আশেপাশেও ঘোরার সাহস পান না কেউ। কি এমন আছে ওই বাড়িতে যে মানুষ এত ভয় পান?
শোনা যায় আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে ওই বাড়িতে একটি শিশু কন্যা থাকতো। সে পুতুল খেলতে খুব ভালোবাসতো। তার বাবা তার জন্য পুতুল তৈরি করে দিতেন। সেই পুতুল গুলি নাকি আজও রাত্রেবেলা জীবন্ত হয়ে ওঠে! এছাড়াও আরও একটি ভূতের গল্প শোনা যায় বাড়িটিকে কেন্দ্র করে। একসময় এই বাড়িতে একজন ধনী ব্যক্তি বাস করতেন। তার দেখভালের জন্য কিছু দাসি রাখা ছিল।
ওই ব্যক্তি নিজের বাড়িতে দাসীদের উপর অত্যাচার চালাতেন। তারা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে একে একে হত্যা করেন তিনি। তারপর থেকেই নাকি নারী কণ্ঠের হাসি, কান্না, চিৎকারের আওয়াজ শোনা যায় বাড়ি থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে কেউ বাড়ির আশপাশ দিয়ে যাতায়াতও করেন না। এমনই সব অমীমাংসিত রহস্য জড়িয়ে রয়েছে আহিরীটোলার পুতুলবাড়িকে কেন্দ্র করে।