সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আফ্রিকা থেকে দেশে আ’না হ’চ্ছে হাফডজন চিতা, কোন জঙ্গলে থাকবে এই হিং’স্র প’শু?

টাইগার করসারভেশন অথরিটি কমিটির অন্যতম প্রধান অধিকর্তা পি যাদব বলেছেন এবার নামিবিয়া থেকে কিছু চিতা মধ্যপ্রদেশের শেওপুরের কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসা হচ্ছে। যার সমস্যসীমা রয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এই বিষয় নিয়ে একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে এনটিসির সচিব, তিনি বলেন আসলে মোট ৮ টি চিতা নিয়ে আসছি মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানের জন্য। ৫ টি মহিলা ও ৩ টি পুরুষ। ১৭ ই সেপ্টেম্বর এই চিতা প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।

স্বাভাবিকভাবেই পশুপ্রেমীদের জন্য এটি দারুণ একটি খবর। তাই তারা এই বিষটি নিয়ে দারুণ তারিফ করেছেন। এই বিদেশ থেকে চিতা আনার একটি ঐতিহাসিক কারণ রয়েছে, আসলে ১৯৪৭ সালের ঘটনা, তখন কোরিয়ার মহারাজ ভারতের তিনটি চিতা হত্যা করেছিল তার পর থেকেই ভারত থেকে একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায় চিতা।

একেবারে ১৯৫২ সালে সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয় চিতার বিলুপ্ত হওয়ার খবর। তবে ৭৫ বছর পরে চিতার পদধ্বনি শোনা যাওয়ার খবর যে কতটা কুশির সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আরও জানা যায় চিতা গুলোকে এনে ৩০ দিন একেবারে নিভৃতবাসে রাখা হবে। সমস্ত ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও রাখা হবে।

আরো পড়ুন: “আর দু’স্টু’মি করবো না, সত্যি বলছি”, ম্যাডামের রা’গ ভা’ঙা’তে খুদে পড়ুয়ার আপ্রা’ণ চে’ষ্টা

এক পরিবেশ থেকে এসে আরেক পরিবেশে মিশতে তাদের একটু সময় লাগবে এটা স্বাভাবিক। তাই মোট ৮ টি চিতার জন্য ৬ বর্গমিটার করে পৃথক থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিতা গুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে চিতামিত্র নামে একটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল। যারা কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতাদের ওপরে সর্বদা নজর রাখবে, তাদের গতিবিধির ওপরে নজর রাখবে।