কিছুদিন আগেই যোগী সরকার ঘোষণা করেছিল রাজ্যের সমস্ত মাদ্রাজার পঠন পাঠন শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক। এই নিয়ে দারুণ এক চর্চার সৃষ্টি হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার এক বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল যোগী সরকার।
যোগী সরকার ঘোষণা করেছে, নতুন যেসব মাদ্রাসা হয়েছে রাজ্যে সেগুলো কোনো ভাবেই সরকারি অনুদান পাবে না। মোটকথা সেই সব মাদ্রাসা গুলোকে সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত করা হল।
এই সিদ্ধান্তে যে রাজ্য রাজনীতিতে দারুন উত্তাপের সৃষ্টি হবে সেটা আন্দাজ করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই তার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই নাকি রাজ্য মন্ত্রীসভায় এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আরো পড়ুন: প্র’ব’ল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস এই জেলাগুলোতে, স’ত’র্ক করলো হাওয়া অফিস
১৬,৪৬১ টি মাদ্রাসা রয়েছে উত্তরপ্রদেশে, তার মধ্যে ৫৫৮ টিকে সরকারি অনুদানের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাকি মাদ্রাসাগুলোর ক্ষেত্রে সরকারি অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী সরকার, যা ইতিমধ্যেই নাকি রাজ্য মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে অবাক করার বিষয় হলো,এই সিদ্ধান্ত নাকি অনেক আগের থেকেই নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল যোগী সরকারের। বেশিদিন হয়নি, যেখানে উত্তরপ্রদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সমস্ত মাদ্রাসার পঠন-পাঠন শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সংগীত গাওয়া বাধ্যতামূলক।
এই সিদ্ধান্তের জন্য অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলোতেও একই পথ অবলম্বন করা হয়েছে, যার মধ্যে কর্ণাটক, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ অন্যতম। এদিকে অবশ্য উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা বোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ বলেন, আমরা চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসুক।
ছেলে মেয়েদের মনে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি দেশ প্রেম জাগিয়ে তোলা একটি অন্যতম লক্ষ্য। ছাত্র ছাত্রীরা যাতে আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, নিজেদের মনে যাতে দেশপ্রেমের ভাবনা জাগিয়ে তুলতে পারে ।তার জন্যই জাতীয় সংগীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।