জালিয়াতি চক্র আরো বেশি বৃদ্ধি করতে, জালিয়াতরা আরো নতুন নতুন প্ল্যান তৈরি করছে। শোনা যাচ্ছে তারা নাকি ভুয়া e-wallet তৈরি করার জন্য, ১৫ টাকা দরে ওটিপি কিনছে।আর সেই ওটিপি ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করছে তারা। ইতিমধ্যেই তদন্ত চালু করেছে পুলিশ, আর সেই সূত্র ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চারটি গ্রুপের সন্ধান পাওয়া গেছে।
তদন্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে, একেকটি গ্রুপে দেশের সব জায়গার মানুষ এমনকি আফগানিস্তান ও বালুচিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের মানুষ রয়েছে এই গ্রুপে, যার সংখ্যা ১৫-৩০ হাজারের মতো। ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে ডিসি স্বাতী ভাঙ্গালিয়া জানিয়েছেন, এই জাল সিমকার্ড চক্রের কাছ থেকে ৮০ টি ভুয়া আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
এখানে এক ব্যক্তির ছবি দিয়েই অনেক কয়েকটি আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছে। গ্রুপের সাথে সাথে এবার এই জাল আধার কার্ড চক্রের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এটা অবশ্য নতুন নয়, এর আগেও প্রচুর জাল সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পাচার করা হয়েছে এই জাল সীমকার্ড।
দিনের-পর-দিন জালিয়াতির সীমা বেড়েই চলেছে, কোনভাবেই পুলিশি তল্লাশি তদন্ত চালিয়ে এই সমস্ত কিছুকে আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। একের পর এক নতুন পন্থা অবলম্বন করে তাদের কাজ চালাচ্ছে জালিয়াতের দল। এখন তারা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ ঠকাচ্ছে অনবরত। পর্ণশ্রী এলাকায় কেওয়াইসি করার নাম করে এক ব্যক্তি কে ফোন করে, কুড়ি লক্ষ টাকা তুলে নেয় জালিয়াতরা। আর সেই সূত্র ধরেই জাল সিম কার্ডের হদিস পায় পুলিশ।