আরো একবার আত্মহত্যার খবর উঠে এলো সংবাদমাধ্যমের সামনে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন প্রাক্তন মিস্টার ইন্ডিয়া মনোজ পাতিল। তবে সৌভাগ্যবশত তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। গতকাল গভীর রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। আপাতত তাকে ভর্তি করানো হয়েছে মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে।
কেন এই আত্মহত্যার প্রচেষ্টা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রসঙ্গে অভিনেতার ম্যানেজার জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেই অভিনেতা তথা সালমান খানের ভাই সোহেল খানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন মনোজ। মনোজের দাবি অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে মানহানি করার চেষ্টা করে সাহিল খান। ব্যক্তিগত জীবনেও সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করেছেন সাহিল। তাই তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
অভিনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছিলেন মনোজ। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ইনস্টাগ্রামে তার নিউট্রেশন শপের বদনাম করেছেন সাহিল। মিস্টার অলিম্পিয়া প্রতিযোগিতায় যোগ দেবার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন মনোজ। একই প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সাহিল খান। তাই কোনভাবেই যাতে মনোজ প্রতিযোগিতায় যোগ না দিতে পারে তার জন্য তাকে মানসিকভাবে হেনস্থা করছিলেন সাহিল খান।
কিন্তু এর পরেই হঠাৎ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মনোজ। সুইসাইড নোট ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় যেখানে লেখা রয়েছে কার্যত মানসিক চাপে পড়ে তিনি আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নিয়েছেন। মনোজ সাহিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো সেই অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেই জানিয়েছেন থানার আধিকারিকরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর তাকে দেখতে গিয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাত সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মনোজ। এর পরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
মনোজের মায়ের অভিযোগ, কিছুদিন আগেই ছেলে তাকে জানিয়েছিলেন, তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করছে সাহিল খান। নির্যাতন এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় শেষ পর্যন্ত, মনোজ আত্মহত্যা রাস্তা বেছে নিতে বাধ্য হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে মিস্টার ইন্ডিয়া ফিজিক ওভারঅল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন মনোজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে সাহিলের সঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য আদান-প্রদান হচ্ছিল। মনোজের আত্মহত্যার চেষ্টায় ঘটনাকে অন্য একটি মাত্রা দিয়ে দিল।
