সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নর্মদা উপত্যকায় মিললো ডাইনোসরের খোঁ’জ! অনুকূল পরিবেশে আসতো সন্তানের জন্ম দি’তে!

ইতিহাস আবার বর্তমানে চলে এসেছে। লক্ষ লক্ষ বছর আগেকার গল্প আবার স্মৃতিচারন করে উসকে উঠছে নর্মদা তীরে। প্রশ্ন উঠেছে এক সময় কি তাহলে ভারতের বুকেও তারা দাপিয়ে বেড়াতো? ভারতের অনুকূল পরিবেশে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য কি তারা আসতো? মধ্য প্রদেশের নর্মদা উপত্যকায় আবিষ্কার হয়েছে ডাইনোসরের বাসা, জানা গেছে এইখানে প্রায় ৯২ টি ডাইনোসরের বাসা পাওয়া গেছে।

এছাড়া পাওয়া গেছে ২৫৬ টি জীবাশ্ম ডিম। প্রাথমিক তদন্ত করে মনে হয়েছে এরা সবই তৃণভোজী শ্রেণীর টাইটানোসরাস। যারা সবথেকে বেশি পরিচিত ডাইনোসর গুলির মধ্যে একটি। ডাইনোসরের এই সংসার খুঁজে পেয়েছে মধ্যপ্রদেশের ধর জেলার নর্মদা উপত্যকায় প্যালিওন্টোলজিস্টদের একটি দল।

তবে এই ধরনের তদন্তে বাসা পাওয়া কিন্তু প্রথম নয়, এর আগেও এরকম ঘটেছে। তবে সম্প্রতিক এই ধরনের অনুসন্ধান গুলি ইতিহাসকে আরো বেশি জাগিয়ে তুলেছে এবং প্রশ্ন উঠেছে তবে কি নর্মদা উপত্যকায় লক্ষ লক্ষ বছর আগে ডাইনোসরদের হ্যাচারি ছিল?

আরো খবর: সামনেই মাঘী পূর্ণিমা, জ্যোতিষশাস্ত্রে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এইদিনটি?

২০১৭ এবং ২০২০ সালে ধর জেলার বাগ এবং কুক্ষি এলাকার অনেক গ্রামে গবেষণা চালিয়েছেন জীবাশ্মবিদরা। এই গবেষণার ব্যাপার সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এবং এখানে বলা হয়েছে যে, তিন বছর আগে এই গবেষণায় মনে করা হচ্ছিল যে গ্রামগুলিতে পাওয়া ডিমগুলি প্রায় ৬৬ মিলিয়ন বছর আগেকার এবং যে বাসা গুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত চমকপ্রদ।

এছাড়াও জানা গেছে যে বাসা গুলো অত্যন্ত ঘন সনিবিষ্ট অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং বাসাগুলিতে থাকা ডিমের ব্যাস প্রায় ১৫ থেকে ১৭ সেন্টিমিটার। কোন কোন বাসায় একটা ডিম পাওয়া গেছে তো কোন বাসায় পাওয়া গেছে ২০ টি।

রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে যে এমনও হয়তো হতে পারে যে ডিম পাড়ার জন্যই শুধুমাত্র নর্মদা উপত্যকায় টাইটানোসরেরা আসতো।ডিমগুলি দিনের পর দিন পরে থাকতো এবং সেগুলো ফোটেনি, তবে এই এলাকায় কোন ডাইনোসরের হার পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই জায়গাগুলিকে নিয়ে আরো গবেষণা করা পরবর্তীকালে প্রয়োজন।

গবেষণা দলের প্রধান ধিমান জানিয়েছেন যে, “এই অঞ্চল গুলিতে শুধুমাত্র বাসা এবং ডিম পাওয়া গেছে কিন্তু কোন হার পাওয়া যায়নি সেই কারণে পরবর্তীকালে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন, দরকার হলে মাইক্রো সিটি স্ক্যান করতে হতে পারে।”