সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বাঙালি যুবকের অ’ভি’ন’ব আবিষ্কার, মাটি ছা’ড়া’ই জল ও হাওয়ায় ব’ড়ো হ’বে গাছ

আমাদের সমাজের সব থেকে নিম্ন স্তরে থাকে কৃষকরা। কিন্তু এই কৃষকদের জন্যই আমাদের সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কৃষকের দুর্গতি কাটানোর জন্য কৃষি পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে তা না হলে দুর্দান্ত মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব হবে না। এই অগ্রগতির যাত্রাতে এবার নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করলেন বঙ্গ তনয় সূর্যদীপ বসাক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। এরপর প্রাইস ওয়াটার কুপার এর মত বড়োসড়ো সংস্থায় চাকরি নিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন তিনি।

কিন্তু চিরকাল নতুন কিছু উদঘাটন করার আলাদা আকাঙ্ক্ষা ছিল তার মধ্যে। সেই সূত্র ধরে সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে চাকরি ছেড়ে দিলেন তিনি। নতুন করে পড়াশোনা শুরু করলেন তিনি। অপ্রচলিত শক্তির ওপর এমটেক করলেন এবং বেছে নিলেন হাইড্রোপনিক ফার্মিং কে প্রজেক্ট হিসেবে। এই পদ্ধতিতে বেশকিছু নতুন পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন এই বঙ্গ তনয়। যার ফলে বর্তমানে মাটির প্রয়োজন ছাড়াই কয়েকগুণ বাড়িয়ে নেওয়া যাবে বীজের ফলন। যদিও এর জন্য দরকার আলো এবং জল ও হাওয়া। শুধু তাই নয় এক কেজি বীজ ৮ দিনেই পরিণত হয়ে যাবে সাত থেকে আটটি চারাতে।

সূর্যদীপ এর মতে এই পদ্ধতি অনেক বেশি পরিবেশ বান্ধব এবং এর ফলে জলের সাশ্রয় করা যাবে প্রায় ৯৫%।ইতিমধ্যেই ইউকে এড’ ও ‘আইকেইউএ ফাউন্ডেশন’ পরিচালিত ‘এফিসিয়েন্সি ফর অ্যাকসেস ডিজাইন চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতায় শৌর্যদীপদের মডেল জিতে নিয়েছে ব্রোঞ্জ পদক। এই প্রসঙ্গে এই বঙ্গ তনয় জানিয়েছেন, প্রতিটি ইউনিট তৈরি করতে তিনি খরচ করেছেন সাত থেকে আট হাজার টাকা। তিনি যে যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছেন তার মাধ্যমে কোন শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী যেকোনো পরিস্থিতিতে এবং আবহাওয়াতে বীজের উতপাদন বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। এই যন্ত্রটিতে এমন একটি মাইক্রোকন্ট্রোলার ব্যবহার করেছে যার ফলে অ্যাভাপারেইভ করতে সক্ষম হয় এই যন্ত্রটি।

প্রথম একদিন বস্তায় রেখে অঙ্কুরোদগম হবার পর সেগুলি বইয়ের সেলফ এর মত থরে থরে সাজিয়ে রাখতে হবে। এই যন্ত্রটি ব্যবহার করার পর সাত থেকে আট দিনের মধ্যে আপনি পেয়ে যাবেন এক কেজি বীজ থেকে ৮ কেজি মত গাছের চারা। এই যন্ত্রের জল এবং আদ্রতার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেহেতু আমাদের দেশের 90% চাষী ছোট এবং প্রান্তিক তাই জমির পরিমাণ আমাদের দেশে খুব কম এবং মেকানাইজড ফার্মিং এর কোনো সুযোগ নেই আমাদের দেশে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে সেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন এই বঙ্গ তনয়।