এলিজা কার্সন, ১৮ বছর বয়সী এই মেয়েটি এত কম বয়সেই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সদস্য হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে নাসার সবথেকে কনিষ্ঠতম সদস্য সে। আর এত ছোট বয়স থেকেই সে প্রস্তুতি নিচ্ছে মঙ্গলের বুকে হারিয়ে যাওয়ার। ২০৩৩ সালে নাসার তরফ থেকে যখন মঙ্গলে মানুষের অভিযান শুরু করা হবে তখন মঙ্গলের প্রথম যাত্রী হবেন এলিজা কার্সন। পৃথিবী থেকে মঙ্গলে যাওয়ার পর ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
অর্থাৎ মঙ্গলের উদ্দেশে যাত্রা করলে ভবিষ্যতে আর পৃথিবীতে ফিরে আসা সম্ভব নাও হতে পারে। তাহলে চিরকালের জন্যই মহাকাশের বুকে মিলিয়ে যাবেন নাসার এই ক্ষুদে সদস্য। তবে তাতে অবশ্য ভীত নন এলিজা কার্সন। তিনি বরং নিজেকে এখন থেকেই প্রস্তুত করছেন ওই অভিনব মহাকাশ যাত্রার জন্য। প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ নিয়ে চলেছেন। বয়সে ছোট হলেও নিজের যোগ্যতা বলে এলিজা কার্সন নাসার ১৪ টি দর্শনার্থী কেন্দ্র যাওয়ার এবং ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন।
মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য এলিজা কার্সন ইতিমধ্যেই যৌনতা, বিয়ে বা সন্তানধারণের বিষয়ে নাসার তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞাপত্রতে সাক্ষর করে দিয়েছেন। ২০৩৩ সালে মঙ্গলে যাওয়া পৃথিবীর প্রথম মানুষ হবেন তিনি। মহাকাশের বেসিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন মিশন কিভাবে পরিচালিত হয়, ভার শূন্যস্থানে ভেসে থাকার উপায়, মহাকর্ষ-শূন্য স্থানে চলাচল করার উপায়, সবটাই রপ্ত করে ফেলেছেন এলিজা।
রোবটিক্সের বিষয়ে তার বিশেষ জ্ঞান রয়েছে। খুব ছোটবেলা থেকেই মহাকাশে প্রতি তার আকর্ষণ। তিনি নিজের একটি রকেটও বানিয়ে ফেলেছেন। নাসার থেকে তাকে একটি ‘কল নেম’ও দেওয়া হয়েছে, যা হলো ‘ব্লুবেরি’। “মার্স ওয়ান” নামের একটি বেসরকারি সংস্থা এলিজাকে তাদের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করেছে। মহাকাশ বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী প্রজন্মে মঙ্গল গ্রহই হবে মানুষের বাসস্থান। তার জন্য এখন থেকেই এলিজাকে তৈরি করছে নাসা।