অগ্রহায়ণ মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় বিয়ের মরশুম। আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে বিয়ের প্রস্তুতিও। আর বিয়ে মানেই একরাশ নিয়ম পালন। সবার মাথায় একটাই চিন্তা, নতুন জীবন শুরুর আগে কোনো নিয়ম পালনে যাতে বাধা না পড়ে। আর সে কারণেই এইসব অশুভ প্রভাব এড়াতে নতুন জীবন শুরুর আগে বিয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উপর নজর দেওয়া বাধ্যতামূলক। আর বিয়ের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিয়ের কার্ড। কারণ বিয়ের কার্ড থেকেই হবু পাত্রপাত্রী সম্পর্কে জানতে পারেন সকলে। তাই হবু দম্পতির উপর যাতে কোনোরকম কুপ্রভাব না পড়ে তাই বিয়ের কার্ডে বাস্তুর এই নিয়মগুলি মেনে চলা প্রয়োজন।
বিয়ের কার্ডের ডিসেন্ট লুক বেশ আকর্ষণীয়। ছিমছাম ও সুন্দর বিয়ের কার্ডই ভাল লাগে। খুব জমকালো বিয়ের কার্ড না হওয়াই ভাল। বিয়ের কার্ডে কোনো বিশেষ কবিতার কয়েক লাইন ব্যবহার করা যেতে পারে। সঙ্গে কোনো সুন্দর আঁকাও বিয়ের কার্ডে রাখা যেতে পারে। সম্পূর্ণ ইংরেজি বা বাংলায় বিয়ের কার্ডের লেখা ছাপতে পারেন।
বাস্তু মতে, বিয়ের কার্ড প্রস্তুতির সময় যে যে বিষয়গুলির প্রতি অত্যন্ত নজর দেওয়া দরকার সেগুলি হল –
১. বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বিয়ের কার্ডে পাত্রপাত্রীর ছবি না দেওয়াই ভালো।
২. কোনোভাবেই বিয়ের কার্ডের রং যাতে কালো বা ধূসর রং-এর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিয়ের কার্ড লাল বা মেরুন রং হওয়া অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
৩. বর্তমানে নানা আকারের বিয়ের কার্ড বা ডিজাইনার কার্ডের ট্রেন্ড চলছে ঠিকই, কিন্তু বাস্তু মতে আয়তাকার বা বর্গাকার বিয়ের কার্ডই শুভ বলে মনে করা হয়।
৪. বিয়ের কার্ডে অনেকেই ঠাকুরের ছবি ব্যবহার করে থাকেন। তবে বিয়ের কার্ডে যাতে নৃত্যরত গণেশের ছবি ব্যবহার করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৫. বিয়ের কার্ডে চন্দন, গোলাপ, জুঁইফুলের সুগন্ধযুক্ত কাগজ বা পারফিউমড কাগজ ব্যবহার করলে অশুভ শক্তিকে দূরে সরানো সম্ভব হয়।
৬. বিয়ের কার্ডে অবশ্যই স্বস্তিক চিহ্ন রাখতে হবে। এই চিহ্নের গুরুত্ব অপরিসীম।
৭. বিয়ের কার্ডে রাধা-কৃষ্ণের ছবি না রাখাই ভালো বলে মত দিয়েছেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা। কারণ রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের বাঁধন অটুট হলেও এঁদের জীবন যন্ত্রণা ও বিরহে ভরা।