রাত পোহালেই বসন্ত পঞ্চমী সারা বছরের প্রতীক্ষার পর এই দিনটি আসে। প্রতিটা ছাত্র ছাত্রীদের কাছে এই দিনটির অর্থাৎ সরস্বতী পুজোর মাহাত্ম্যই আলাদা। এই দিন সকাল সকাল উঠে কাঁচা হলুদ মেখে স্নান সেরে অঞ্জলী দেওয়ার তাড়া থাকে দেখার মতোন। এই দিন থেকেই আবহাওয়ারও একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
বসন্ত কালের সূচনা হয় এই দিন থেকেই তাই তো একে বসন্ত পঞ্চমী বলেও অভিহিত করা হয়। তবে এই দিনটার কিছু নিয়ম আছে। কিছু কিছু কাজ এই দিন কখনোই করা উচিত নয়। আর সেই নিয়েই আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা হবে।
১. শাস্ত্রে বলা আছে যে বসন্ত পঞ্চমীতে হলুদ রঙের পোশাক পরা অত্য়ন্ত শুভ। হলুদ না হলে বাসন্তী, সাদা বা কমলা রঙের পোশাক পরা যেতে পারে। তবে এই দিনে ভুলেও কেউ কালো রঙের পোশাক পরবেন না। বসন্ত পঞ্চমীতে কালো পোশাক অশুভ প্রভাব নিয়ে আসে।
২. সরস্বতী পুজোর দিন সকালে উঠেই স্নান সেরে নেওয়া উচিত। এদিন ভুলেও স্নান না করে খাবার খাওয়া উচিত নয়, এটি করা অশুভ বলে মনে করা হয়। স্নান সেরে অঞ্জলি দিয়ে তবেই খাবার মুখে তুলুন।
আরো খবর: মার্চেই Coca-Cola লঞ্চ করছে স্মার্টফোন, কি কি থাকবে ফোনে?
৩. সরস্বতী পুজো বা বসন্ত পঞ্চমীর দিনটি লেখাপড়া শুরু করার জন্য উপযুক্ত। এদিন সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের শুদ্ধ মনে বাগদেবীর আরাধনা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
৪. বসন্ত পঞ্চমীর দিন কেউ মাছ-মাংস বা আমিষ খাবার খাবেন না। এদিন মদ্যপান থেকেও বিরত থাকা উচিত।
৫. খেয়াল রাখবেন সরস্বতী পুজোর সময় জ্বালানো প্রদীপ জ্বালা যেন কোনও ভাবে পুজোর মধ্যে নিভে না যায়। পুজো চলার মধ্যেই কোনও ভাবে প্রদীপ নিভে যাওয়া অত্যন্ত অমঙ্গলের সূচনা করে বলে প্রচলিত বিশ্বাস।
৬. সরস্বতী পুজোর দিন সেলাইয়ের কোনও কাজ না করাই ভালো।
৭. সরস্বতী পুজোর দিন কৃষক বন্ধুদের ফসল কাটতে নিষেধ করা হয়। শুধু তাই নয়, এদিন বাড়ির কোনও গাছ কাটাও উচিত নয়। বরং সরস্বতী পুজোয় বাড়িতে কোনও গাছ বসানো খুবই শুভ বলে মনে করা হয়।
৮. সরস্বতী পুজোর সময় অবশ্যই পড়ার বই, ছবি আঁকার তুলি বা সঙ্গীতের সরঞ্জাম থাকলে তা দেবীর সামনে রেখে আসা উচিত। এগুলির উপর দেবীর কৃপাদৃষ্টি বর্ষিত হয় বলে মনে করা হয় এবং এই সব ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করা যায়।
৯. সরস্বতী পুজোর দিন কখনও কাউকে খারাপ কথা বলবেন না। কারণ প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এদিন দেবী সরস্বতী আমাদের জিহ্বায় অবস্থান করেন। তাই এদিন নিজের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।