সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভিনগ্রহী যান না কো’নো শত্রু দেশের নজরদারি যান? নতুন করে ত’দ’ন্ত শুরু করলো পেন্টাগন

ইউএফও, যার পুরো নাম আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট। উড়ন্ত চাকতি, এই নিয়ে রহস্য অনেক দিনের। কিন্তু আদতে এইসবের উৎস কোথায়? এই নিয়েই প্রশ্ন সমস্ত বিজ্ঞান মহলের।কোনভাবেই এর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হচ্ছে না। মাঝেমাঝেই এই ধরনের উড়ন্ত চাকতি, নজর পড়ে সাধারণ মানুষের, কিন্তু তার অবস্থান এমনকি তার উৎপত্তি কেউ ঠিকমতো জানেনা। তবে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি অন্য দেশের গোয়েন্দা বাহিনীর নজরদারি? না ভিনগ্রহের প্রাণী। হঠাৎ করেই তারা কোথা থেকে উদয় হয়? আবার কিভাবেই বা চোখের নিমিষে মিলিয়ে যায়? এইসব প্রশ্নের উত্তর এখনো খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এই ইউ এফ ও রহস্য তো আর আজকের নয়, একেবারে গত দু দশক থেকেই চলছে গবেষণা, কিন্তু যার উত্তর পাওয়া যায় নি এখনও।কিন্তু আর কত এবার এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য একেবারে কোমড় বেঁধে নেমেছেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তর। আর সেই সূত্র ধরেই গত বুধবার পেন্টাগন থেকে একটি নতুন কার্যালয় খোলার ঘোষণা করা হয়েছে, এই নতুন কার্যালয় চলবে শুধুমাত্র এই ইউএফও নিয়ে গবেষণা।একেবারে বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যালোচনা সাথে সাথে চলবে এই গবেষণা, আর যার মাধ্যমে গত দুই দশকের অজানা রহস্য আসবে সবার সম্মুখে।

এয়ারবোর্ন অবজেক্ট আইডেন্টিফিকেশান অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিনক্রোনাইজেশন গ্রুপ’ ইতিমধ্যেই এই গ্রুপ কে তদন্ত করার আদেশ দিয়েছেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তরের উপসচিব ক্যাথলিন হিকস। একেবারে উপযুক্ত প্রমান অনুমতি নিয়েই শুরু করা হয়েছে তদন্ত। গত দুই দশক ধরে আমেরিকার বিভিন্ন সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এই ধরনের ইউএফও দেখার কথা সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই ১২০ টি ঘটনার তথ্য নথিবন্ধি করা হয়েছে। এর ওপরে নির্ভর করেই শুরু করা হয়েছে গবেষণা। বিভিন্ন তথ্যের বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে। কোথায় কিভাবে দেখা গিয়েছে এমনকি তাদের চালচলনই বা কেমন সব কিছুই ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেক আগেই বাইডেন সরকারের তরফ থেকে এই বিষয় নিয়ে প্রাথমিক একটি তদন্ত শুরু হলেও তার সঠিক কোনো দিকে পৌঁছোতে পারে নি। তবে তখনই জানানো হয়েছিল এর সঠিক ও গভীর তদন্ত করা হবে, আর সেই কথামতোই শুরু হয়েছে তদন্ত।