সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ডিজেলের দা’ম ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী, বাংলায় বাসভাড়া বা’ড়া’নো নিয়ে কা’ত’র আ’র্জি মালিকদের

একদিকে গত বছর ধরেই করোনার প্রভাবে গোটা বিশ্ব যেন একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেছে। একদিকে দিনের-পর-দিন ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা, তেমনি অন্যদিকে ও বেড়ে চলেছে মৃত্যু মিছিল। এইরকম অবস্থাতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যেন ক্রমশ অবনতির দিকে চলে যাচ্ছে। লকডাউনের ফলে হাজার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। চারিদিকে যেন বেকারত্বের হাহাকার শোনা যাচ্ছে। এইরকম অবস্থাতে নিজেদের কাজ বাঁচাতে ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যেও নিজেদের প্রাণকে হাতে করে কর্মক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে অনেককে। তাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে যাওয়া-আসা নিয়ে।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই যেমন বেকারত্বের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, তেমনি পাশাপাশি দাম বাড়ছে সমস্ত দ্রব্যের। ভোটের পর থেকেই ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম, যার ফলে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে বাস মালিকরা। এই রকম অবস্থাতে তারা আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য পাওয়ার জন্য। গত বছরে করোনা পরিস্থিতির সময় যখন লকডাউন দেওয়া হয়েছিল সেই সময় ট্রেন, বাস সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বহু চাকুরীজীবিদের, কিন্তু এরপর যদিও এই সমস্যার সমাধান করতে কিছু কিছু বাস চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে, কিন্তু সে ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছিল নানান সমস্যা। ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল বেসরকারি বাসের ভাড়া।

সরকারের থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল যে বাসের ভাড়া না বাড়াতে কিন্তু, সেই নিয়েই যথেষ্ট আন্দোলন হয়েছিল বেসরকারি বাস মালিকদের তরফ থেকে। ক্রমশ যেভাবে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা মেটাতে অবশ্যই বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করতে হবে এরকমই জানানো হয়েছিল বেসরকারি বাস সংগঠনের তরফ থেকে।

২০১৮ সালে এই পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে ছিলেন বেসরকারি বাস সংগঠন, কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি কারণ, এই পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েই চলেছে। বেসরকারি সংগঠনের এক নেতা রাহুল চট্টোপাধ্যায় তিনি এই বিষয়ে বলেন যে রাস্তায় যদি বাস নাও চালানো হয় তাও অনেক খরচ হয় যেগুলো, নিজের তরফ থেকেই মেটাতে হয়। গত বছর থেকেই সাহায্যের জন্য আবেদন করা হচ্ছে কিন্তু কোনো রকমের সাহায্য তারা পাচ্ছেন না।

এর পরেই এই সমস্ত ঘটনাটি জানানো হয়েছিল পরিবহন মন্ত্রীকে। ৯০ টাকা ডিজেলের দাম যদি বাসের ভাড়া না বাড়ানো হয় তাহলে কোন মতেই বাস চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠবে না। আবেদন করা হয়েছে যে ব্যাংকের যে সমস্ত ইএমআই এবং বীমা রয়েছে সেগুলো যেন আপাতত মুকুব করা হয়।

অনেক ববাস ড্রাইভার নিজেদের কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। বেসরকারি পরিবহন ব্যবস্থা যেন একেবারেই মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। অন্যদিকে তপন বন্দোপাধ্যায় জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বার সিন্ডিকেটের একজন সাধারণ সম্পাদক, তিনি বলেছেন যে, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাসের ভাড়া যেন বৃদ্ধি করা হয়। সাথে যেন ব্যাংক, ইএমআই যে সমস্ত রয়েছে সেগুলো যেন মুকুব করা হয়। অনেক বাস মালিক এবং শ্রমিকরা কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যের জন্য আশা করে রয়েছেন”।