Home লাইফস্টাইল জানেন কি এই সমাধির সামনে আসলেই জগন্নাথ দেবের রথ থে’মে যায়

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জানেন কি এই সমাধির সামনে আসলেই জগন্নাথ দেবের রথ থে’মে যায়

আজ ১ জুলাই শুভ রথযাত্রা। বছরের এই একটি মাত্র দিনে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা তিন ভাই বোনে মিলে রথে চেপে মাসির বাড়ি ঘুরতে যান। আর উল্টো রথে আবার রথে চেপে মাসিবাড়ি থেকে তারা ফিরে আসেন নিজের বাড়ি।

রথযাত্রা উৎসব পালিত হয় আষাঢ় মাসের দ্বিতীয়া তিথিতে। চলতি বছরে ১২ জুলাই পালিত হবে উল্টো রথ। খুব ধুমধাম করে পালিত হয় পুরীর রথযাত্রা। করোনার কারণে ২ বছর পুরীতে রথ যাত্রার আয়োজন সম্ভবপর হয়নি।

তবে এবার রথযাত্রা উপলক্ষে আবার সেখানে সাজোসাজো রব। এদিন পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে তিনটি পৃথক রথে চেপে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম মাসিরবাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

আরো পড়ুন: যৌতুকের ব’কে’য়া টাকা না মিললে বি’য়ে ক’র’বো না! এবার পণ চাইলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা

তবে জানেন কি রথযাত্রার সঙ্গে জড়িত আছে এক সুন্দর পৌরাণিক কাহিনী। পুরাণে কথিত আছে, একদা সুভদ্রা নিজের বড়ভাই কৃষ্ণ ও বলরামের কাছে নগর দেখার ইচ্ছার কথা জানান। তখন দুই ভাই ও বোন রথে বসে নগর ভ্রমণের জন্য বের হন।

পথে গুন্ডিচায় নিজের মাসির বাড়ি যান তাঁরা। এখানে ৭ দিন থাকেন তাঁরা। এরপর সমগ্র নগর ঘুরে পুরী ফিরে আসেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। আর তার পর থেকেই এখানে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়ে আসছে বলে বিশ্বাস।

পুরীর রথযাত্রা বিশ্ববিখ্যাত হলেও এখন দেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন ইস্কন মন্দিরে রথ যাত্রার আয়োজন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের মাহেশ, মহিষাদলের রথযাত্রা জগৎবিখ্যাত।

নগর যাত্রার সময় জগন্নাথের রথ তাঁর এক ইসলাম সম্প্রদায়ের ভক্ত সালবেগ-এর সমাধির সামনে এসে কিছু ক্ষণের জন্য থেমে যায়। জগন্নাথের দর্শনের জন্য মন্দির পৌঁছতে পারেননি তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে সমাধি দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন: সোনার চেন চু’রি করলো পিঁপড়ের গো’টা গ্যাং, ভিডিও দেখে তা’জ্জ’ব নেটিজেনরা!

সবথেকে আশ্চর্যের বিষয়, জগন্নাথের রথ নিজে থেকেই তাঁর এই সমাধির সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে। শত চেষ্টা করেও কিছুক্ষণের জন্য রথের চাকা সেখান থেকে ঘোরানো যায় না।

তারপর সালবেগের আত্মার উদ্দেশ্যে শান্তি কামনা করে রথ তার গন্তব্যস্থলের দিকে এগোতে শুরু করে। আর এই ঘটনার পর থেকেই প্রতিবছর সালবেগের সমাধির সামনে এসে রথ থামানো শুরু হয়।

জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা তিন ভাইবোনে তিনটি পৃথক রথে চেপে নগর ভ্রমণে বের হন। তাঁদের রথের ভিন্ন ভিন্ন নামও রয়েছে। জগন্নাথের রথ অন্যান্য সমস্ত রথের থেকে সবচেয়ে উঁচু। ৪৫.৬ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এই রথের নাম নন্দীঘোষ।

জগন্নাথের নন্দীঘোষ হলুদ ও লাল রঙের কাপড়ে মোড়া। তারপর ৪৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট বলরামের রথ, নাম তালধ্বজ। বলরামের রথ লাল ও সবুজ কাপড়ে মোড়া। আর বোন সুভদ্রার রথ দর্পদলন, যার উচ্চতা ৪৪.৬ ফুট। সুভদ্রার দর্পদলন কালো ও লাল রঙের কাপড় দিয়ে মোড়া।