সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দেশজু’ড়ে ঋণের চা’হি’দা গগনচুম্বী, ব্যাংকে মি’ল’ছে না ক্যাশ টা’কা

দেশে এখন উতসবের মরশুম যার কারণে ঋণের চাহিদা এখন অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে কেনাকাটায় তার সাথে ভারতীয় মুদ্রার দর পড়ে যাওয়া ঠেকাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এক নতুন পথ অবলম্বন করেছে, সেটা হল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডলার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত। যার কারণ এখন ব্যাঙ্কের কাছে নগদের অভাব সৃষ্টি হয়েছে।

দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় নগদের পরিমাণ কমে গেছে অনেকটাই, সেটা মানি মার্কেটে স্বল্প মেয়াদের জন্য টাকা ধার দেওয়া ও সাথে সেই ঋণের হার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঠিক করেছিল, সেটাই ৩০ এপ্রিল ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়ে এখন একেবারে শীর্ষে পৌছেছে। এখন ওয়েটেড এভারেট কল রেট ৬.১১% হয়েছে যেটা কিনা রেপো রেটের থেকে ০.২১% বৃদ্ধি পেয়েছে।

এখানেই শেষ নয় মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেসিলিটি ৬.১৫% এর খুব কাছে চলে এসেছে। তবে ব্যাঙ্কগুলোর কথা ভেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অতিরিক্ত ঋণ নিয়ে নগদের ব্যবস্থা রেখেছে, সেই ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোকে ৬.১৫% হারে সুদ গুণতে হবে। এখন এই বিষয় নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে চলেছে।

আরো পড়ুন: ট্রাফিক সিগনালে জ্বলজ্বল করে উ’ঠ’বে “হার্ট” চি’হ্ন! কবে চালু হচ্ছে এই অভিনব নি’য়’ম?

সম্প্রতি আইএফএ গ্লোবালের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অভিষেক গোয়েঙ্কা বলেন, ব্যাঙ্ক গুলোর কাছে নগদের একেবারে জোগান নেই। তারা ইতিমধ্যেই এম এস এফের সুবিধা নিতে শুরু করে দিয়েছে। চলতি সপ্তাহের সোমবারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক গুলো রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে ২১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিদেশী মুদ্রা বিক্রি করার কারণে তাছাড়া উতসবের মরশুমে নগদের চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যাঙ্ক গুলোকে এই পরিস্থিতির মুখে পরতে হয়েছে।

ইতিমধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, সোমবার দেশের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় মোট ৮,৭৬৪.৪৩ কোটি টাকা ঢোকানো হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে দেশের ব্যাঙ্ক গুলোর কাছে যে নগদের অভাব রয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নীতি অনুযায়ী ৯১ হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়। এই সমস্ত বিভিন্ন কারণের জন্য টানা ৫ দিন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক গুলোকে নগদের জোগান দিয়ে আসছে।