সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মৃ’ত্যু তাকে দেখে মু’খ ঘুরিয়ে নেয়! বাস-ট্রেন-বিমান-গাড়ির দু’র্ঘ’ট’না হলেও তিনি বেঁ’চে ফেরেন

ক্রোয়েশিয়ার ফ্রানে সেলাকেল ধার ঘেঁষেই বোধহয় মৃত্যুদূতের যাতায়াত। মৃত্যু তাঁর জীবনে বহু বার আসা যাওয়া করেছে। তবে, ফ্রানে সেলাক অবশ্য প্রতি বারই মৃত্যুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবলীলায় জীবনে ফিরেছেন।

তবে ২০১০ সালে তিনি হঠাৎই ঠিক করেন তাঁর জেতা লটারির অধিকাংশ টাকা এবং তা থেকে কেনা সম্পত্তি আত্মীয় বন্ধুদের বিলিয়ে দেবেন। তার পর থেকে একান্তে অতি সাধারণ ভাবে জীবন কাটাতে শুরু করেন ফ্রানে।

তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘সৌভাগ্যবান দুর্ভাগা’ হিসেবে খ্যাতি এনে দিয়েছে। ফ্রানে এক জন সঙ্গীত শিক্ষক। শারীরিক ভাবে তিনি যে দারুণ চাঙ্গা, এমনটাও নয়। এই ফ্রানে নিজের জীবনে সাত বার বড় রকমের জীবন সঙ্কটে পড়েছেন।

১৯৯৫ সালে রাস্তায় হাঁটছিলেন ফ্রানে। একটি বাস তাঁকে সজোরে ধাক্কা মারে। ছিটকে নরম বালিতে গিয়ে পড়েন। বেঁচে যান ফ্রানে।

বিমান দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে গাড়ি বিস্ফোরণ, ট্রেন দুর্ঘটনা এইসব কিছুই বাদ নেই সেই তালিকায়। কিন্তু দুর্ঘটনা যত বড়ই হোক সামান্য কাটা ছেঁড়ার উপর দিয়েই ফ্রানের বিপদ কেটেছে।

ঠিক এই পর্যন্ত পড়ে যদি মনে হয় এর থেকে বেশি আর কী ঘটতে পারে, তবে বলতে হবে এখনও অনেক জানার বাকি। সবে তো জমজমাট সিরিজের এটি দ্বিতীয় পর্ব।

ফ্রানেকে ‘সৌভাগ্যবান দুর্ভাগা’ বলার দু’টি কারণ হল,প্রতিবারই তিনি নিশ্চিত মৃত্যুকে এড়িয়ে যেতে পেরেছেন। আর কপাল খারাপ কারণ, বার বার তাঁকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে।

১৯২৯ সালের ১৪ জুন ক্রোয়েশিয়াতেই ফ্রানের জন্ম। এখন তিনি ৯২ বছরের বৃদ্ধ। তবে মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর পাঞ্জা শুরু সেই ১৯৬২ সাল থেকে। তখন তাঁর বয়স ৩২। ১৯৭৩ সালে আবার গাড়ি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন ফ্রানে। এ বার অবশ্য বিস্ফোরণ নয়। ফ্রানের গাড়ির জ্বালানি পাম্প ভেঙে ইঞ্জিন থেকে আগুনের হলকা বার হতে শুরু করে। আগুনের হলকায় ফ্রানের মাথার চুল পুড়ে যায়। সামান্য উচ্চতার হেরফেরে তাঁর শরীরটাও পুড়ে যেতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। আবারও কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় মৃত্যু।