সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কোটি কোটি টা’কা প্র’তা’র’ণা, গ্রে’ফ’তা’র আমির খান

আজকালকার দিনে ছোটো বড়ো সকলের হাতেই স্মার্ট ফোন দেখতে পাওয়া যায়। আর এই স্মার্ট ফোন দিয়ে কত যে অনৈতিক কাজ কর্ম হচ্ছে তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রায়ই দেখা যায় স্মার্ট ফোন মানেই তাতে নিত্য নতুন গেমিং অ্যাপ। আর সেসব নিয়েই বুঁদ হয়ে রয়েছে এখনকার যুব সমাজ। বেশ কিছু এমনও অ্যাপ রয়েছে যেখানে খেললে টাকা মিলতে পারে। আর এভাবেই অসাধু ব্যাবসা করে বাড়াচ্ছে হাজার হাজার ব্যাবসায়ী।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই সমস্ত মোবাইল গেমিং অ্যাপের মারফত মোটা রোজগারের টোপ দিয়ে শিকার ধরা হয়। প্রথম ধাপে সহজ কিছু চ্যালেঞ্জ বা প্রশ্ন করা হয় যাতে সেটা যে কেউ পারে। একটা ছোট খাটো টাকাও দেওয়া হয়। আর সেটা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই ছেলেমেয়েরা উত্তেজিত হয়ে এটাই টাকা কামানোর মাধ্যম ভেবে ফাঁদে পা দেয়। এরপর অ্যাপের তরফে হাজার পাঁচেক টাকা জেতার লোভ দেখানো হয়। কিছু টাকা খুব সহজে জিতে অনেকে টোপ গিলে পরের ধাপে পা বাড়ায় ও সর্বস্বান্ত হয়।

অ্যাপের তরফে জানানো হয়, গোড়ায় বেশি টাকা খাটালে পরে আয় আরও বাড়বে। শিকার লোভে পড়ে মোটা টাকা দিয়ে দিলেই কেল্লা ফতে! স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপ ডিঅ্যাক্টিভেটেড হয়ে যায়, তখন আর যিনি খেলছেন পরবর্তী ধাপে আর যেতে পারেন না। অ্যাপ টা আর ওপেন ই হয় না। তার সব টাকা ওই অ্যাপওয়ালা নিজের জিম্মায় নিয়ে কেটে পড়েন।

আরো পড়ুন: ভারতের আজব গ্রাম, এখানে মানুষ খা’ও’য়া দাওয়া করে অন্য দেশে ঘু’মো’তে যায় আরেক দেশে!

আর ঠিক এই ভাবেই গেম খেলিয়ে শিকার ধরতেন গার্ডেনরিচ – এর ব্যাবসায়ী আমির খান। দীর্ঘ দিন ধরে এভাবেই টাকা লুটছিলেন তিনি। ইডির নজরে আসে পুরো বিষয়টা। আর তাঁরা তাঁর বাড়িতে হটাৎ করেই পৌঁছোয় ১০ই সেপ্টেম্বর। গোটা ঘর তল্লাশি করে যে পরিমাণে টাকা পায় তার কল্পনা করাও মুস্কিল সাধারন মানুষের পক্ষে। বেশ কয়েক দফায় গুনে শেষ অবধি পাওয়া যায় ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।

তবে টাকা পাওয়া গেলেও আমির খান কে পাওয়া যায়নি। তাঁকেই তাঁরা এতদিন ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। আর তিনি ইডি হানার পর থেকেই এদিক ওদিক গা ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে তাঁকে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা যায় বলে জানা যাচ্ছে। গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খান শেষ অবধি ধরা পড়েন। অনলাইন গেম প্রতারণার অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতার নিয়ে আসার কথা রয়েছে তাকে।

ইডি তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে, এরকম অনেক লোক রয়েছে যারা এসব গেমের বিনিময়ে টাকা লোটার ফাঁদ পেতে বসে আছে। এর জাল অনেক দূর অবধি রয়েছে। আমির খান ও গা ঢাকা দিয়ে আস্তে আস্তে টাকা গুলো সরিয়ে ফেলার প্ল্যান করেছিলেন কিন্তু শেষ অবধি তাঁর উদ্দেশ্য সফল হয়নি। ইডি তা হতে দেয়নি। তাই সাধারণ মানুষদের বলা হচ্ছে খুব সাবধানে ফোন ব্যাবহার করুন। এরকম গেমিং অ্যাপ থেকে দূরে থাকুন।