সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বাংলায় লা’গা’তার আন্দোলন শু’রু হ’বে ২৩ জুন থেকে, ঘোষণা দিলীপ ঘোষের

আন্দোলন করার পথে এবার অগ্রসর হল বিজেপি। বাংলায় এবার আন্দোলন শুরু করতে চলেছে তারা ২৩ জুন থেকে। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে বিজেপির নজরে ছিল পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ভরসা জেতার জন্য বিজেপির তরফ থেকে সংঘটিত করা হয়েছিল একাধিক জনসভা, কিন্তু শেষমেশ রাজ্যের জনগণ বেছে নিল, তৃণমূল সরকারকে। পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের অবস্থানকে সঠিক পর্যায়ের না আনার কারণে, এবার নতুন ভাবে আন্দোলনের পথে চলেছে বিজেপি।

একথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ মঙ্গলবার দিন এই কথাই ঘোষণা করেন। তা৺র মতে বিজেপি চাইছে রাজ্য সরকারকে সাহায্য করতে,কিন্তু রাজ্য সরকার বিজেপিকে চেষ্টা করছে রাজনীতি শূন্য করে তোলার। এইরকম অবস্থাতে বিজেপি চাইছে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে যার জন্যই তারা নামতে চলেছে নতুন আন্দোলনে।

মঙ্গলবার দিন বিজেপিদের তরফ থেকে একটি পর্যালোচনা জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছিল কলকাতার হেস্টিংস অফিসে। এই অফিসে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ এবং সাথে রাজ্যের একাধিক বিজেপি নেতা। বৈঠকে দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারকে নিশানা করে একাধিক কথা তুললেন। তিনি রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বললেন যে, “বাংলায় বিরোধী শূন্য হয় সেই প্রচেষ্টায় করা হচ্ছে। বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা যথেষ্ট উদ্বেগজনক, এই ব্যাপারটিকে নিয়ে অবশ্যই রাস্ট্রপতির কাছে উপস্থিত হব। রাজ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে যথেষ্ট ব্যবসা চলছে”।

মঙ্গলবার বিজেপি একটি নতুন কমিটি করল এবং যার প্রধান সুভাষ সরকার। আরও দুজন হলেন বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, এবং আরেকজন হলেন রথীন বোস। খবর সূত্রে জানা গেছে যে, দলের মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সেটাকে সামাল দেওয়ার জন্য তিন সদস্যের একটি বৈঠক বসানো হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে।

বিজেপির এই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকতে পারেননি, কারণ তিনি দিল্লীতে রয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লিতে থাকা ব্যাপারটি বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন যে, “হয়তো কোনো প্রয়োজনেই দিল্লিতে গেছেন তিনি।”