সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কয়লা পাচার কা’ন্ডে এবার জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ত’ল’ব করলো CID

কিছুদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি যে বিষয় নিয়ে চর্চিত হচ্ছে তা হলো দুর্নীতি। এসএসসি থেকে শুরু করে কয়লা কাণ্ড সবেতেই হাই ওয়েট রাজনৈতিক নেতাদের যুক্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে। তেমনি এবার কয়লা কাণ্ডে নাম জোরালো আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তলব করল সিআইডি । ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে ভবানীভবনে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে আসানসোল, রানিগঞ্জ, কুলটিতে কয়লা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে।

একটা বড় মাপের কয়লার পরিমাণ পাচার হয়ে যাচ্ছে আর এই নিয়েই তদন্ত করছেন তদন্তকারীরা। এই তদন্ত করছে সিআইডির গোয়েন্দারা। আর তাঁদের থেকেই জানা যাচ্ছে যে , এই ঘটনায় তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে। আর সেই কারণেই জিতেন্দ্রকে ডাক পাঠানো হয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিয়ারী বলেছেন যে, “সাক্ষী হিসেবে হাজিরার একটি নোটিশ পেয়েছি। আমি চেষ্টা করব উপস্থিত থাকার।”

তবে তাঁর সাথে এও বলেন যে , “কেন আমাকে ডাকা হচ্ছে সবাই তা জানে। যে মামলায় ডাকা হচ্ছে তা ২০২০ সালের মামলা। হঠাৎ এই মামলায় আমাকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হচ্ছে। রাজনীতিতে এই বিষয়গুলির মুখোমুখি হতে হয়।” অর্থাৎ তিনি এই কথার মাধ্যমে এটাই বলতে চান যে কয়েকদিন আগেই সিবিআই তৃনমূল নেতা মলয় ঘটকের বাড়ি সার্চ করেছেন এই কয়লা কাণ্ড নিয়ে তাই তাঁকেও এরকম হেনস্থা করা হচ্ছে। অন্তত তাঁর কথা বলার ইঙ্গিত তেমনই মনে হচ্ছে।

আরো পড়ুন: স্বামী রোহনপ্রীতের সঙ্গে কেমন স’ম্প’র্ক নেহার? গো’প’ন ক’থা ফাঁ’স করলেন হিমেশ রেশমিয়া

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই কয়লাপাচার কাণ্ডের কারণেই বা মামলায় কিছুদিন আগেই মলয় ঘটকের আসানসোলের দুটি বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছিল। গত বুধবার তাঁর আসানসোলের বাড়ি সার্চ করা হয়। আর সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা নথি এবং মোবাইল সব তথ্যই আদালতে জানান হয় সিবিআই এর তরফ থেকে। আর সেসব কিছু এর মধ্যেই আদালতে সার্চ লিস্ট এবং সিজার লিস্টও জমা দেওয়া হয়েছে।

আর এমত অবস্থায়, মলয় ঘটক কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “আমার ছেলে যে বাড়িতে থাকে সেই বাড়িটির জন্য আমাকে ৮৮ লাখ টাকার ঋণ নিতে হয়েছে। এরমধ্যে ২০ লাখ টাকা নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে আমি দিয়েছি।” তবে এত কিছু বললেও তাঁর কাছ থেকে যদি জোরালো প্রমাণ পাওয়া যায় যে তিনি এই কয়লা কাণ্ডে জড়িত তাহলে তাঁকে রেয়াদ করা হবে না বলেই জানা যায়।