চিন সরকার ভারতের প্রভাব খর্ব করতে ঢাকার জন্য ঋণের পসরা সাজিয়েছে। অভিযোগ উঠছে, ঋণের ফাঁদে ফেলে হাসিনা সরকারকে নিজেদের স্বার্থপূরণে ব্যবহার করতে চাইছে কমিউনিস্ট দেশটি।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবার সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, চীনা ঋণ নিয়ে অনেকেই অহেতুক ভয় দেখাচ্ছে। চীনা ঋণ নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাওঁয়ে ‘সেন্টার ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশি’ আয়োজিত ‘ব্রান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
এই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ড. মোমেন বলেন, অনেক জ্ঞানপাপী বলছেন, বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কার মতো চীনা ঋণের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। সেটা ঠিক নয়।
আরো পড়ুন: লতা মঙ্গেশকরের প্র’য়া’ণে ব্যথিত প্রধানমন্ত্রী, দুদিনের রাষ্ট্রীয় শো’ক ঘো’ষ’ণা কেন্দ্রের
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতে ঋণের ফাঁদে পড়তে হলে ৪০ শতাংশ ঋণ নিতে হয়।আমরা ঋণ নিয়েছি মাত্র ১৬ শতাংশ। বেশির ভাগ ঋণ নিই বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে।জাপান থেকেও ঋণ নিয়ে থাকি। চীনা ঋণ এসবের ধারেকাছেও নেই।
ড. মোমেন বলেন, তিস্তা ব্যারেজে চীন নাকি বিনিয়োগ করবে। তারা নাকি উৎসাহ দেখিয়েছে। তবে আমাদের বলেনি। আর এটা নিয়ে অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশ নাকি চায়না হয়ে গেল।