পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের জীবনযাত্রা এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁর বাবা জিম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটিভ আইনের অধীনে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল পপতারকার বাবাকে। এবার এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি চেয়ে বিচারকের কাছে আর্জি জানালেন ব্রিটনি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি এই অপমানজনক কেস থেকে মুক্তি পেতে চান। প্রতিদিন তিনি দাসত্ব অনুভব করছেন তাঁর জীবনে।
এই প্রথম খোলা আদালতে তিনি তাঁর বাবা এবং তাঁর জীবনের নিয়ন্ত্রণকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিন্দা করলেন। তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে সব সময় তাঁকে জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ খেতে বাধ্য করছেন তাঁরা। এমনকি প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করতে এবং সন্তান ধারণ করতে বাধা দিচ্ছেন তাঁরা। লসএঞ্জেলেসের আদালতের বিচারককে তিনি জানিয়েছেন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। তিনি নিজের জীবন আরো একবার ফেরত পেতে চান।
এই কনজারভেটিভ ভালোর থেকে তাকে খারাপ করেছে বেশি। স্বাভাবিক জীবন কাটানোর অধিকার সকলেরই আছে। তাঁকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে লংড্রাইভে যাবার অনুমতি দেওয়া হয় না। তাঁর বাবা অত্যাধিক তাঁর জীবনে হস্তক্ষেপ করে তাঁর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। পপ গায়িকার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড জাস্টিন টিম্বারলেক এই বিষয়ে গায়িকাকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করে লিখেছেন, ওর সঙ্গে যা হচ্ছে সত্যিই তা হতাশাজনক। একজন নারী তাঁর শরীর নিয়ে কি করবে সেই সিদ্ধান্ত একমাত্র তার, এই সিদ্ধান্ত অন্য কেউ নিতে পারেনা।
২০০৮ সালে আদালতের আদেশের জন্য গায়িকার বাবাকে গায়িকার জীবনের সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছিল। সেসময় উদ্বেগ এবং অবসাদের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ব্রিটনি। তবে ১৩ বছর পরে এই আদালত সেই রায়ের কোন হেরফের করেনি বলে আদালতের বিরুদ্ধে হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গেছে নেট মাধ্যম।