সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শনি মহারাজের প্র’কো’প কা’টা’তে প্র’তি শনিবার হনুমান মহামন্ত্রের জ’প করুন

প্রতিদিন হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে মানুষের মধ্যে নেগেটিভ এনার্জি বর্জিত হয়ে পজিটিভ এনার্জির মাত্রা বাড়ে। অনেককেই বলতে শুনেছি যে হনুমান মহামন্ত্র পাঠ করলে নাকি অনেক উপকার পাওয়া যায়।

হনুমান চল্লিশা যে কেবল শনিবারেই পাঠ করতে হয় এমন কোনো নিয়ম নেই প্রতিদিনই এটি পাঠ করা যায়। শাস্ত্রমতে হনুমান চল্লিশার সঙ্গে থাকায় তুলসী দাসের জেলে থাকতেও কোনো কষ্ট হয়নি।

তাই জীবনে দুঃখ-কষ্ট কমানোর জন্য হনুমান চল্লিশার গুরুত্ব অপরিসীম। ৪০ অধ্যায় রচিত এই হনুমান চল্লিশা লেখেন কবি তুলসীদাস। কথিত আছে একদিন তুলসীদাস যখন ঔরঙ্গজেবের দরবারে যান তখন ঔরঙ্গজেব তাকে বলেন যে তিনি রামের সঙ্গে দেখা করতে চান।

আরো পড়ুন: তৃণমূলে কি যো’গ দিচ্ছেন ২১ শে জুলাই? কি বলছেন রূপা গাঙ্গুলি?

এর উত্তরে কবি জানান, ভক্তের ভক্তি, বিশ্বাস শীর্ষে না পৌঁছালে ভগবান রামের দেখা পাওয়া সম্ভব নয়। এই কথা শুনে ওরঙ্গজেব রেগে যান এবং তুলসীদাস কে কারাবন্দি করেন।

কারাগারে থাকার সময় তুলসীদাস হনুমান সম্পর্কে যা অনুভব করেছেন তাই তিনি লেখায় ফুটিয়ে তোলেন। লেখকের ভাবনায় বেড়ে যায় শব্দমাত্রা। জন্ম হয় এক শক্তি কুন্ডের, যার নাম হয় হনুমান চাল্লিশা।

কর্মফলের দেবতা হল শনিদেব। এই গ্রহরাজ বজরংবলীর ভক্তদের দিকে কুদৃষ্টি দেন না। তাই যদি প্রতি শনিবার স্নান করে সকালে হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায় তবে শনিদেবের কুদৃষ্টি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিন হনুমান চল্লিশা পাঠে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি হয়, কর্মে উন্নতি হয়, মনের আশা পূর্ণ হয়।