সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

টিএমসি বিধায়ককে স’ম’র্থ’ন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের! রাজনৈতিক ম’হ’লে জ’ল্প’না

বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলের এক বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে নিয়ে যথেষ্ট চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ফেসবুকে তিনি একটি পোস্ট করেছিলেন যার ফলে রাতারাতি সকলের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ফেসবুকে মনোরঞ্জন বাবু একটি পোস্ট করেছিলেন এবং যেখানে তিনি লিখেছেন যে, “রাজনীতিতে যদি না আসতাম তাহলে ভালো হতো”। এই পোস্টটিকে ঘিরে যথেষ্ট জল্পনা শুরু হয়েছে। পোস্টটিকে ঘিরে কিছু সংবাদ মাধ্যমকে নিশানা করে তিনি বলেন যে, “অনেক সাংবাদিক এবং মিডিয়া তার বক্তব্য ভুল ব্যাখ্যা করছে”।

সংবাদমাধ্যমের ওপর তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে ঘোষণা করলেন যে, তিনি আর কখনোই মিডিয়া এবং ফেসবুকে কোনরকমে সাক্ষাৎকার দেবেন না। আপাতত তিনি কিছুদিনের জন্য এই সমস্ত ব্যাপার থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে চান, চান শুধুমাত্র জনসাধারণের জন্য কাজ করতে। মনোরঞ্জন বাবুর পোস্টটির পর এবার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের এক অন্য রকম প্রতিক্রিয়া দেখা গেল।

লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার সকল জনসাধারণ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পায় না। যে সমস্ত সরকারি প্রকল্প রাজ্য এবং কেন্দ্রে তৈরি হচ্ছে তা, সাধারন মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। মানুষের কাছে সেই প্রকল্পগুলোকে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয়েছে একপ্রকার রাজ্য সরকার। তৃণমূলে অনেক বিধায়ক রয়েছে কিন্তু অনেকেই স্বাধীন মত কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না”।

অনেকেই মনে করছেন যে উচ্চ নেতৃত্বের কাছে হয়তো মনোরঞ্জন বাবু তার পোস্টটি করার জন্য ধমক খেয়েছেন, এই কারণেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে নিজেকে রাখতে চাইছেন। যদিও ব্যাপারটা এরকম কিনা সে বিষয়ে এখনও পরিষ্কার ভাবে জানা যায়নি। বেশকিছু দিন আগে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক, ফেসবুকে লাইভ করেছিলেন বলে ধমক খেতে হয়েছিল তাকে দলের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে, এবং যার পর তিনি ফেসবুক ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। মদন মিত্র পুরো শাসক হওয়ার দাবি জানিয়ে এই লাইভটি করেছিলেন। পরবর্তীকালে এই লাইভটি তিনি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেন, যার পরেই মদনবাবুকে মমতা ব্যানার্জি স্বয়ং ধমক দিয়েছিলেন।