আজ বিপত্তারিণী পুজো পালন করলেন বহু মহিলা এবং পুরুষ। আমরা সকলেই জানি বিপত্তারিণী পূজা উপলক্ষে মহিলারা উপবাস করেন এবং প্রথা অনুসারে হাতে লাল সুতো বেঁধে রাখেন।
এই লাল সুতো বেঁধে রাখার পেছনে কি উদ্দেশ্য রয়েছে বা কি রহস্য রয়েছে আপনি কি তা জানেন? অনেকেই বলবি এটি একটি ধর্মীয় সংস্কার মাত্র। কিন্তু এটি মোটেই কোন যথার্থ উত্তর নয়। বিশ্বাস অনুযায়ী এই অলৌকিক শুধু সব রকম অমঙ্গল এবং বিপদ আপদ থেকে নিরাপদ রাখে আমাদের।
জানা যায়, ভক্ত প্রহ্লাদের পুত্র বলিরাজ ব্রহ্মার আশীর্বাদে স্বর্গ, মর্ত এবং পাতালের অধিকারী হয়েছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্র নিজে সিংহাসন রক্ষা করার জন্য ভগবান বিষ্ণুর কাছে ছুটে যান এবং ভগবান ইন্দ্রের সিংহাসন রক্ষা করার জন্য ভগবান বিষ্ণু বামন রূপ ধারণ করে বলি রাজকে পাতালে পাঠিয়ে দেন।
আরো পড়ুন: ঘন্টায় ঘন্টায় কাঁ’প’ছে আন্দামানের মাটি! লাগাতার ক’ম্প’নে নাজেহাল বাসিন্দারা
ভগবান বিষ্ণু বলি কে অমরত্ব দান করলে আশীর্বাদ স্বরূপ তার হাতে পড়িয়ে দেন একটি লাল সুতো। সেই লাল সুতো বাঁধার প্রচলন আজ পর্যন্ত পালন করে আসছেন হিন্দুরা। এছাড়া আরো একটি প্রচলিত মত রয়েছে সেটি হল একবার দেবতা এবং অসুরদের মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
অসুরদের পরাক্রম দেখে দেব রাজা ইন্দ্র ভীষণভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েন। স্বামীকে চিন্তা করতে দেখে দেবরাজ ইন্দ্র স্ত্রী ইন্দ্রানী তার জন্য প্রার্থনা শুরু করে দেন। ইন্দ্রানী তার আধ্যাত্মিক শক্তি একত্রিত করে একটি লাল সুতো দিয়ে সেই প্রার্থনা সম্পূর্ণ করেন এবং সেই লালসিত পরিয়ে দেন দেবরাজ ইন্দ্রের গলায়।
এরপর দেবরাজ ইন্দ্রের সঙ্গে অসুরদের মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ হয় এবং ইন্দ্রের নেতৃত্বে এই যুদ্ধে দেবতারা জয়ী হন। তখন থেকে মনে করা হয় যে কোন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই লাল সুতোর কোন বিকল্প হয় না।