পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলিতে লাদেন তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে সরকার । সোমবার জলপাইগুড়ি শহরের চার নম্বর ঘুমটি বিজেপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু । তিনি বলেন, এন আই এ র তরফে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চলছে। জঙ্গীরা ধরা পড়েছে । অথচ রাজ্য সরকারের পুলিশ শুধুমাত্র বিজেপিকে ঠেকানোর কাজ করতে ব্যস্ত। এদিন ৪নং ঘুমটির বিজেপি পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী, তপন রায়, ধর্তি মোহন রায় , অলোক চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।
তিনি আরও বলেন এতদিন অভিযোগ আসত বাংলাদেশ থেকে লোক আসত বিএসএফ ব্যর্থ। যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এরা কিন্তু বাংলাদেশি নয় এরা ভারতের নাগরিক। লোকাল জেহাদি এলিমেন্ট মুর্শিদাবাদ, মালদার বাংলায় তৈরী হয়েছে। এর পেছনে চারটি কারণ আমাদের মনে হয়েছে পুলিশ প্রশাসন জানত কিন্তু রাজনৈতিক চাপে তারা কাজ করতে পারেনি অথবা পুলিশ কিছুই জানত না।এটা রাজ্য সরকারকে পরিস্কার করতে হবে। কেবল মাত্র ৩০ শতাংশ ভোটারকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য বাকিদের বিপদে ফেলার যে প্রবনতা তা মমতা ব্যানার্জির সরকারের সময়ে ব্যপকভাবে বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন সায়ন্তন বসু।
যার ফলেই খাগড়াগড় হয়েছে। নৈহাটিতে একটা ঘটনা ঘটল তার তদন্ত হল না। যার ফলে উত্তরবঙ্গের ঘুমিয়ে থাকা শক্তি গুলো এখন জাগতে শুরু করেছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে বলেছিলেন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির মাদ্রাসা গুলো বেড়ে উঠছে যার কোন অনুমোদন নেই। এই মাদ্রাসা গুলো লাদেন তৈরীর কারখানায় পরিনত হয়েছে। রাজ্য সরকারের উচিৎ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। আমরা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই রাজ্যকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি রাখছি। উত্তরবঙ্গও নিরাপদ নয়।মালদাতেও এন আই এ অভিযান চলছে।
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই সরকারকে ফেলে দেওয়া উচিৎ বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু। পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা গুলিতে জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে গেছে। পুলিশ বিভাগ আসল কাজটাই করছে না। সায়ন্তন বসুর মিছিল আটকাচ্ছে। কে কোথায় ফুটবল খেলছে তাকে ধরছে। দিলীপ ঘোষ কোথায় যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে মামলা করো।পুলিশের কাজ বিজেপিকে আটকাও। তাহলে পুলিশ বিভাগকে তুলে দিলেই হয় রাখার কী দরকার। পুলিশ বিভাগের নাম বিজেপি ঠেকাও ডিপার্টমেন্ট করে দিলেই তো হয় বলে কটাক্ষ করেন সায়ন্তন বসু।