সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বি’য়ে’র দিনেই বি’রা’ট দু’র্ঘ’ট’না! টানা ৮ দিন পর জ্ঞান ফেরার পর স্ত্রীর মৃ’ত্যু’তে শো’কে কাতর যুবক

এ যেন একেবারে সিনেমা। আংটি হাতে নিয়ে হাঁটু মুড়ে প্রেম নিবেদন করেছিলেন প্রেমিকাকে। তবে শুধু প্রেম নয় রীতিমত বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি ছিলেন প্রেমিকা। কিন্তু বিয়ে আর হলো না। হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে প্রেমিকের চোখে তখন ভাসছিল তার প্রেমিকার সেই আনন্দের মুহূর্ত।

তার শরীরে ছিল গভীর চোট মাথায় ছিল ব্যান্ডেজ। ওই অবস্থায় আট দিন তিনি শুয়েছিলেন হাসপাতালের বেডে অচৈতন্য হয়ে। তার বাঁ হাতের হাড় দুটুকরো হয়ে গিয়েছে। ওই হাত দিয়ে তিনি প্রপোজ করেছিলেন তার প্রেমিকাকে।

হাসপাতালে চোখ খুলে সবার আগে তার প্রশ্ন ছিল সামান্থা কোথায়? সামান্তা অর্থাৎ তার প্রেমিকা। সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সামান্থার মা। হবু জামাইয়ের প্রশ্ন শুনে এক ঝটকায় তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আর সবাই তখন চুপ হয়ে গিয়েছিল।

আসলে বিয়ের দিনেই তার স্ত্রীকে হারিয়েছেন এরিক। জ্ঞান ফেরার পর যখন সেই খবর জানতে পারেন তখন হা করে সবার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি এরপর হঠাৎ করেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তখন সবে সবে একটু চলতে পারছেন সামান্থার শেষকৃত্য করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।

হানিমুনে তাদের ইউরোপ যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেই সব স্বপ্নই রয়ে গিয়েছে। তবে কেবলমাত্র বিয়েতে রাজি হলেই তো হলো না বিয়ে মানে হাজার কথা। জমকানো অনুষ্ঠানে ক্যারোলিনার একটি সমুদ্র সৈকতে তারা বিয়ে করেন।

বিয়ে শেষ করবার পর সৈকত ছেড়ে তারা বেরিয়ে যান। সেই সময় গাড়িতে রোমান্টিক গান বাজছিল আর সদ্য বিবাহিত দম্পতি সেই গানের সুরে তাল মিলাচ্ছেন। এমন সময় হঠাৎ ঘটে গেল এক দুর্ঘটনা। তারপর চোখের সামনে অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল দুজনের।

সুস্থ হয়ে যখন উঠেছিলেন এরিক তখন দেখতে পাননি তার প্রিয়তমাকে। শুরু হয়ে যায় তার শেষকৃত্য করার তোর জোর। সেই সময় সবার আগে এগিয়ে এসেছিলেন এরিক। নতুন এক জগতের উদ্দেশ্যে পা দিয়েছিলেন সামান্থা কিন্তু সেই জগতে ছিল না তার ভালোবাসার মানুষ।