সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জাতীয় নিরাপত্তায় বড়ো বি’প’দ রোহিঙ্গারা, রাষ্ট্রসংঘের হ’স্ত’ক্ষে’প চাইছে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব

মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। শরণার্থীদের একাংশ আবার বাংলাদেশে আশ্রয় সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে মাদক পাচারের কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বুধবার একটি বিজ্ঞপিতে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে এই মর্মে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

সেই বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের মায়ানমার বিষয়ক নতুন দুত নুয়েলিল হেইজারের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব। মঙ্গলবার বিকেলে তাদের মধ্যে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের কার্যকরী ভূমিকা দাবি করেছেন বাংলাদেশের বিদেশ সচিব। বাংলাদেশ মায়ানমারের নিজেদের বাসস্থানে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন বিদেশ সচিব।

এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যাশায় গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের সংকটের সমস্যা সমাধান হলো না। এতে যথেষ্ট হতাশা ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। মায়ানমারের বাস্তুচ্যুত প্রায় দশ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। রোহিঙ্গারা দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের মারফত মানব এবং মাদক পাচারের মত সমস্যা তৈরি করছে। এতে বাংলাদেশের নিরাপত্তার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মায়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ দূতের কাছে আবেদন করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব। বিশেষ দূতের সাহায্যে এই ধরনের কাজ এবং এই অঞ্চলে কাজের অভিজ্ঞতা সমস্যার সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি আনতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়ে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। তোলাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্রব্যবসা, কিশোরী এবং তরুণীদের দিয়ে দেহব্যবসা, বিদেশে পাচার করে দেওয়া, রোহিঙ্গাদের অপরাধমূলক কীর্তিকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।