সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দিল্লিতে মমতা না’ম’তে’ই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্লো’গা’ন “আবকি বার, দিদি সরকার”

দিল্লির কুর্সি দখল করতে এবার নরেন্দ্র মোদির পথেই হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের ‘শহিদ দিবস’-এর মঞ্চ থেকেই বিজেপি-বিরোধী শক্তিকে একজোট হতে বার্তা দিয়েছেন । ফলাফল যাই হোক না কেন, সর্বশক্তি দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে আহ্বান জানিয়েছেন অন্যান্য বিরোধীদের। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে টার্গেট করে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মধ্যে তৃতীয় বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আজ, ২৬ জুলাই রাজধানী দিল্লিতে পা রাখছেন তিনি। ঠিক সেই সময় ট্যুইটারে তৃণমূলের নতুন প্রচার পর্ব শুরু হল হ্যাশট্যাগ ‘আবকি বার দিদি সরকার’ (#AbkiBaarDidiSarkar)।

২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদির হয়ে গোটা দেশ ও বিদেশেও বিজেপি যেভাবে প্রচার শুরু করেছিল , ঠিক সেই ছন্দেই এদিন তৃণমূল কংগ্রেসও সুর বাঁধল । দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কেরা এদিন বাংলা মডেলকে গোটা দেশে চালু করার সুফল উল্লেখ করে ট্যুইটারে পোস্ট করেছেন, হ্যাশট্যাগ ‘আবকি বার দিদি সরকার’, যা মমতার দিল্লি সফরের মাঝে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রসার আরও বাড়িয়ে তুলতে এটি মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। কারণ, আজকের যুগে সোশ্যাল মিডিয়াই বদলে দিতে পারে অনেক কিছুই।

এরই মধ্যে আবার, নেত্রীর দিল্লি সফরের আগেই তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সংসদে পেগাসাস, কৃষি আইন-সহ একাধিক বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল। তাঁদের সেই আন্দোলন নজর কেড়েছে গোটা দেশেরও। সূত্রের খবর, ২৮ জুলাই সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মমতা যেখানে সংসদীয় রাজনীতিতে আগামীদিনের রূপরেখা তৈরি করে দেবেন ।

সেই সঙ্গে উক্ত দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠকে বসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাজ্যের বিষয়ে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলবেন। বিশেষত করোনা টিকা নিয়ে রাজ্যের ক্ষোভের বিষয়টি ফের ওই বৈঠকে তুলে ধরতে পারেন তিনি। এই কদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন রাইসিনা হিলস, রাষ্ট্রপতির দরবারেও। সেখানে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিষয়গুলিও উঠে আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল আদৌ লড়তে পারবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতার দিল্লি সফরকে যেখানে বিরোধী জোটের দিন শেষ হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল, সেখানে দিলীপ এই সফরকে ‘পলিটিক্যাল ট্যুরিজম’, ‘ক্লান্তি কাটাতে দিল্লিতে রিল্যাক্স করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী’ ইত্যাদি বলে কটাক্ষ করেছেন।