বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী ৮০ এর দশকের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী। অভিনেত্রী রূপে গুণে মুগ্ধ আট থেকে আশি সকলেই। এহেন অভিনেত্রী এক বিবাহিত পুরুষের প্রেমে পড়েন। স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও বলিউড পরিচালক বনি কাপুরের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধেন শ্রীদেবী। বনির সঙ্গে শ্রীদেবীর এই সম্পর্ক বনি কাপুরের প্রথম পক্ষের সন্তান অর্জুন কাপুর কিছুতেই ভালো ভাবে মেনে নিতে পারেননি। পরিচিত এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে বাবার দ্বিতীয় বিয়ের পর ডিপ্রেশনে চলে যান অর্জুন কাপুর।
মা মোনা কাপুরকে ডিভোর্স দিয়ে যেদিন শ্রীদেবীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন বনি, সেদিন বাবাকে বিশ্বাসঘাতক বলেই মনে হয়েছিল অর্জুনের। সংসারের এই ভাঙ্গন কিছুতেই ভালো ভাবে মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। মানসিক অবসাদ তাকে গ্রাস করেছিল। তার দরুন তিনি বেশি পরিমাণে খাওয়া-দাওয়া করতে শুরু করেন এবং মোটা হয়ে যান। শুধু তাই নয়, স্কুলে যেতেও আর ভাল লাগত না অর্জুনের। কারণ স্কুলের সহপাঠীরা সবসময় শ্রীদেবীকে নিয়ে চর্চা করতো।
এরপর অর্জুন ধীরে ধীরে নিজেকে মানসিক অবসাদ থেকে বের করে নিয়ে আসেন। অভিনয় জগতে পা রাখেন। তার প্রথম ছবি ইশকজাদে। তবে সেই ছবি মুক্তি পাওয়ার কয়েক মাস আগেই তার মা মোনা কাপুরের মৃত্যু হয়। মায়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন অর্জুন। তবে বাবাকে পাশে পাননি। মোনার শেষ করতে সবথেকে শেষে পৌঁছেছিলেন বনি। এরপর তার সৎ বোন জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গেও ঘটল সেই একই ঘটনা। তার প্রথম ছবি রিলিজ হওয়ার কয়েক মাস আগেই বাথটাবের জলে ডুবে মারা গেলেন শ্রীদেবী।
এই পরিস্থিতিতে অর্জুন নিজের জায়গায় জাহ্নবীকে দেখেছিলেন। তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন শ্রীদেবির শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে। শ্রীদেবীর মৃত্যু দুই পরিবারকে কাছাকাছি এনে দিয়েছিল। জাহ্নবী তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর অর্জুন এবং মুকেশ আম্বানির প্রচেষ্টায় শ্রীদেবীর মৃতদেহ দুবাই থেকে ভারতে আনা সম্ভব হয়।
