সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তৃণমূলের জন্মলগ্নের নেতারা কি এবার অবসরের প’থে? বা’ড়’ছে জ’ল্প’না

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সমকালীন সময় থেকেই দেখা যাচ্ছে যে তৃণমূল শিবির কার্যত এখন নতুনদের উপর আস্থা রাখছে। দলের পুরোনো সদস্যদের তুলনায় নতুনরা এগিয়ে আসছেন রাজনীতিতে। নতুন সদস্যদের উপরেই গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেমন রাজ্য স্তরের রাজনীতিতে থেকে জাতীয় স্তরের রাজনীতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে!

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একসময় দলের অভ্যন্তরেই তুমুল মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। তৃণমূল শিবিরে “তোলাবাজ ভাইপো”র প্রভাব বৃদ্ধি পেতেই একের পর এক দল ছাড়তে শুরু করেন দলের বরিষ্ঠ সদস্যরা। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও দলের বহু পুরাতন সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে নির্বাচনের আগে বিরোধী বিজেপি শিবিরে যোগদান করেন।

রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, একুশের লড়াইয়ে গেরুয়া শিবিরের বিপক্ষে জয় লাভ করার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শেই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে বাংলায় নিয়ে আসেন। তার পরের ঘটনা সকলেরই জানা। নির্বাচনে জয়লাভ করার পরে তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদের উন্নয়ন ঘটালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যস্তর থেকে জাতীয় স্তরে পদার্পণ করলেও তৃণমূলের এই নবীন সদস্য সুব্রত বক্সী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সৌগত রায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত দলের প্রাক্তনীদের আশীর্বাদ নিতে ভুললেন না। দলের তরফ থেকে গুরুদায়িত্ব পেয়েই তিনি দলের প্রবীণ সদস্যদের বাড়ি ছুটেছেন। তাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের আশীর্বাদ নিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, তৃণমূল শিবির আপাতত দলের গুরুদায়িত্ব নবীন সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়াই উচিত বিবেচনা করছে। অনেকেই তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তকে দলের প্রবীণ সদস্যদের “বাণপ্রস্থে” পাঠানোর পরিকল্পনা হিসেবে দেখছেন!