সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আশ্চর্য্য ঘ’ট’না, ক’ব’র দেওয়ার পরেও মহিলা ৪০ বছর বেঁচেছিলেন

অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটি সত্যি ঘটনা, যে কারণে ডানবারের কাহিনী বছরের পর বছর ধরে মানুষের মধ্যে বেঁচে রয়েছে। এখন মনে প্রশ্ন হতেই পারে কে এই ডানবার? আসুন জানবো আজ আমরা তাঁরই জীবন কাহিনী, কেন জ্যান বন্ডেসন নামে এক লেখকের বই “বারিড অ্যালাইভ দা টেরিফাইং হিস্ট্রি অফ আওয়ার মোস্ট প্রাইমাল ফিয়ারেও ডানবারের কাহিনীর উল্লেখ রয়েছে।

এ সমস্ত কিছুই জানতে গেলে চোখ রাখতে হবে আজকের এই প্রতিবেদনে। ডানবার হলেন কানাডার দক্ষিণ ক্যারোলিনার ব্ল্যাকভিলে গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর জন্ম হয় ১৮৮৫ সালে, তবে ছোট থেকেই তিনি মৃগী রোগী ছিলেন যে কারণে ১৯১৫ সালে যখন তার বয়স মাত্র ৩০ বছর তখনই হঠাৎ তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন এবং সেই দুর্দশা দেখে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

যার ফলে পরিবারের শোকের ছায়া নেমে আসে এবং কাঠের কফিনে বন্দী করে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তাঁর পরিবার। তবে তার শেষকৃত্যের দিন বেলা ১১ টা নাগাদ ডানবারের মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয়, তার জন্য তিন জন মন্ত্র পড়েন পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়, তবু তখনও ডানবারের বোন এসে সেখানে উপস্থিত হননি।

আরো পড়ুন: স্বামীকে সু’খী রাখতে “রক্ষিতা” ভা’ড়া করলেন স্ত্রী, কি কি কাজ করেন তিনি জানুন

তাঁর বোন থাকতেন পাশেরই শহরে, তাই ডানবাড়ির আকস্মিক মৃত্যুর খবর তাঁর কাছে দেরিতে পৌঁছায় এবং তাঁর আসতেও কিছুটা দেরি হয়, ততক্ষণে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়ে গিয়েছে। তবু অনুরোধ করে সেই মাটির নিচ থেকে কফিন বার করা হয়। তবে ঢাকনা খুলে যা দেখা যায় চমকে ওঠার মত, কফিনের ঢাকনা খুলতেই দেখা গেল প্রাণবন্ত হাসি নিয়ে তাকিয়ে আছেন দানবার, যা দেখে সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

পড়ে তাঁকে বার করে এনে চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানান তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস এতটাই ক্ষীন ভাবে চলছে যে যে কেউ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করার মত ভুল করতে পারেন, তাই আগের চিকিৎসকও সেই ভুলটি করেছেন কিন্তু সব থেকে অবাক করার বিষয় এই ঘটনার পর প্রায় ৪০ বছর তিনি বেঁচে ছিলেন এবং ১৯৫৫ সালে বার্ধক্য জনিত কারণেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, তবুও বহু মানুষের কাছে আজও অশরীরী বলেই পরিচিত তিনি।