এপার বাংলা-ওপার বাংলার সংযোগের উন্নয়নের জন্য তৈরি শিলিগুড়ি-ঢাকা রেল পরিষেবা। এখন অপেক্ষা শুধু উভয় তরফের সবুজ সংকেতের। এনজেপি-ঢাকা রেস্তরেশন সম্পূর্ণ তৈরি ট্রেন চলাচলের জন্য। এই ট্রেন সপ্তাহে দুদিন চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। এই যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে যোগাযোগ যেমন বাড়বে তেমনি শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ, পাশের রাজ্য সিকিম, বিহার, প্রতিবেশী দুই দেশ নেপাল ও ভুটানের অর্থনীতিরও উন্নয়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই রেল পরিষেবা চালু হলে উভয় তরফের পর্যটন ব্যবসার উন্নতি হবে। এই রেল পার্টনার ফর বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে হলে ৫৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে। শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি ৮৪ কিলোমিটার পথ ভারতের মধ্যে দিয়ে আর বাকি ৪৪৬ কিলোমিটার পথ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেন ছেড়ে জলপাইগুড়ি জেলার হলদিবাড়ি হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছোবে এই ট্রেন। ওপার বাংলায় চিলাহাটি, নীলফামারি, পার্বতীপুর, হিলি, নাটোর, ঈশ্বরদী আর টাঙ্গাইল হয়ে ট্রেন পৌঁছবে ঢাকায়। হিমালয়ান হসপিটালিটি এবং ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানাচ্ছেন, এই ট্রেন পরিষেবা চালু হলে পর্যটন ব্যবসার এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।
এমনিতেই ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি হয়ে বাস পরিষেবার ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তার উপর আবার এই রেলপথ চালু হলে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের যাত্রীদের সুবিধা হবে বলে তিনি মনে করছেন। উভয়ই তরফের যাত্রীদের মধ্যে যাতায়াতের এই মাধ্যম খুলে গেলে তাতে লাভবান হবে দুই রাষ্ট্র।