Home অফবিট পৃথিবীর বু’কে’ই এলিয়েনের পোস্টমর্টেম হয়েছিলো ১৯৪৭ সালে, রয়েছে ছ’বি স’হ প্র’মা’ণ

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পৃথিবীর বু’কে’ই এলিয়েনের পোস্টমর্টেম হয়েছিলো ১৯৪৭ সালে, রয়েছে ছ’বি স’হ প্র’মা’ণ

একটি ছবি হঠাৎই আবারো নানা প্রশ্ন ও সমালোচনার ঝড় তুলে দিল, যার নিলাম বাজারের দর উঠেছে অনেক ছড়া, প্রায় ১১ লাখ মার্কিন ডলার কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কি এমন আছে ছবিটিতে? যার জন্য এটি নিয়ে মানুষের এত কৌতুহল এত সমালোচনা এত মত পার্থক্য ।

ছবিটি হলো অটোপসি টেবিলে আছে এমন একটি প্রাণীর, তার আলোকচিত্রের নেগেটিভ এটি, যা এখন সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে। নানাজন নানা মত প্রকাশ করছেন। সর্বোপরি যে মত উঠে আসছে তা ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েন্স, এই এলিয়েনদের কথা আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিনেমাতেও দেখেছি। এমনকি বৈজ্ঞানিকরা প্রতিনিয়ত সন্ধান করে চলেছেন ভিনগ্রহের প্রাণী সম্পর্কে, এই পৃথিবীর বাইরে আর কোনো প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায় কিনা, তা জানার ইচ্ছা বা আগ্রহ আমাদের বরাবরই।

কিন্তু প্রশ্নটা এটা নয়, প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই ছবিটিকে এলিয়েন্স বলে আখ্যা দেয়া হচ্ছে? যদিও তার জন্য আমাদের কিছুটা অতীতে ফিরে যেতে হবে, যেখানে রয়েছে অনেক গুলি তথ্য বা প্রমাণ, যা থেকে কিছুটা হলেও সুস্পষ্ট ধারণা মেলে। ঘটনাটি ১৯৪৭ সালের মেক্সিকোর রসওয়েল শহরের ঘটনা, যেখানে সেই শহরের মানুষজন একদিন সকালবেলা লক্ষ্য করেছিলেন, তাদের শহরে আকাশে এক অজানা আকাশযান। তা দেখে সবাই অনুমান করেন যে, এটি কোনো ভিনগ্রহ থেকে এসেছিল। এমনকি পরে ওই আকাশ যানটি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং তার ভিতর থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী একটি মৃতদেহ ও উদ্ধার করেন, যার পোস্টমর্টেমও করা হয়েছিল এবং তারই ছবি এটি বলে দাবি করা হয়।

ইংল্যান্ডের প্রযোজক রে সান্টলি ছবিটি কিনেছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর ক্যামেরাম্যানের থেকে, কিন্তু তারপরও ছবিটি গোপন রাখা হয়। কারণ যখনই এই ছবিটি সবার সম্মুখে এসেছে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৯ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিস্কভারি সাইন্স এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, তারা ২০০১ সালে এই ছবিটি নিয়ে গবেষণা করেন এবং তাকে তারা বলেছেন, এটি কোন মূর্তি নন, এটি একটি প্রাণীর ছবি। যার সাথে এই জগতের কোন প্রাণীর মিল পাওয়া যায়নি। তাই নতুন করে আবারো এলিয়েন্স এ প্রসঙ্গ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তবে এত তর্কবিতর্কের মাঝে সন্টালি রারি বল নামের একটি ই-কমার্স সংস্থার মাধ্যমে এটি নিলামে তুলেছেন। যাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ এবং এর ছবিটি যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছে করা যেতে পারে।