গোটা তিন বছর পর আবার ফিরে আসতে চলেছে এল নিনো, যার ফলে গোটা বিশ্বের তাপমাত্রায় ঘটবে বড় পরিবর্তন। তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে এল নিনো ফিরে আসার পরে কি পৃথিবীর উষ্ণতা আরো বাড়তে চলেছে? এ বিষয়ে নাসা জানিয়েছে, ১৯ শতকের শেষ দিকে পৃথিবীর যেরকম উষ্ণ ছিল তার তুলনায় ২০২২ সালে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রায় ছিল ১.১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেশি।
মেটেরোলজিকাল ডিপার্টমেন্টের মতে ১৯০১ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ২০২২ সালটি হল পঞ্চম তম উষ্ণ বছর, কিন্তু এখন অনেকেরই প্রশ্ন আসতে পারে যে এল নিনো ব্যাপারটা আসলে কি? এই এল নিনো কথাটির আক্ষরিক অর্থ হলো ছোট্ট ছেলে। স্প্যানিশ ভাষায় যাকে বলা হয় ছোট্ট যিশু।
দক্ষিণ আমেরিকার মৎস্যজীবীরা ১৬০০ সালে এই ধরনের আবহাওয়ার পরিবর্তনের বিষয়টি সামনে আনেন। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে তিন ও সাত বছর অন্তর অন্তর এই আবহাওয়ার ধরন বদল হয়। বায়ু, সমুদ্রস্রোত এবং সমুদ্রের আবহাওয়ার তাপমাত্রার ভারসাম্য অনেকাংশে নষ্ট হয় এবং বায়োস্ফিয়ারের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।
আরো খবর: বি’য়ে’র পরপরই মা হয়েছেন, সন্তান জন্মের দুমাসের মধ্যেই ফে’র প্রেগনেন্ট আলিয়া!
এল নিনো আসার ফলে ঠান্ডা জল কোনোভাবেই ভৌমতলে আসতে পারে না, যার কারণে জল অস্বাভাবিকভাবে গরম হয়ে পড়ে। এরপরে মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয় অথবা এর বিপরীত হতে পারে। একদিকে যেমন এল নিনোর প্রভাবে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার অনেক অঞ্চল গুলিতে খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অন্যদিকে প্রশান্ত মহাসাগরে সাইক্লোন এবং টাইফুনের মতো সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছিল।
এল নিনোর প্রভাবে গোটা বিশ্বকে নানান ভাবে প্রভাবিত হতে হয় । কোথাও খড়া দেখা যায় তো কোথাও অনাবৃষ্টি, তো কোথাও প্রবল বৃষ্টি। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন যে সেই সময়টা আবার ফিরে আসতে চলেছে।