৩০ লক্ষ বছর পর সূর্যপ্রণাম করতে আসছে এক মহাদৈত্য।ধেয়ে আসছে এক অকল্পনীয় চেহারার মহাদৈত্য। সৌরমণ্ডলের একেবারে বাইরের প্রান্ত থেকে। যার শরীর আপাদমস্তক বরফে গড়া। যে শরীর থেকে সবেমাত্র মাথাটা বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। প্রকাণ্ড লেজটা এখনও গজায়নি। চেহারায় এতটাই সুবিশাল যে, গোড়ার দিকে তাকে অনেকেই মনে করেছিলেন হয়তো প্লুটোর মতোই কোনও বামন গ্রহ (ডোয়ার্ফ প্ল্যানেট)।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পরে ভুল ভাঙে। তাঁরা দেখেছেন, সেই আপাদমস্তক বরফে মোড়া মহাদৈত্যের মাথাটা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে সূর্যের দিকে ছুটে আসার পথে। সে যতই কাছে আসবে ততই তার মাথাটা বড় হবে। গজাবে লেজ আর সেটাও প্রকাণ্ড হয়ে উঠবে উত্তরোত্তর। সূর্যের টানে। ধূমকেতু হয়ে উঠবে পুরোদস্তুর।
তবে, এই মহাদৈত্য যে আদতে একটি প্রকাণ্ড ধূমকেতু, তা বুঝতে পেরে সে কোন পথ ধরে ধেয়ে আসছে সৌরমণ্ডলে, কোন পথ ধরে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে আর তার পর কোন পথ ধরে ফিরে যাবে তার সাকিন বরফের মহাসাম্রাজ্য ওরট্ ক্লাউডে অঙ্ক কষে সেই সব হিসেবনিকেশও করে ফেল ফেলেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’-এ তাঁদের সেই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।