করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে মোদি সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে বারংবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এতে কি মোদির জনপ্রিয়তায় কোনরকম আঁচ পড়েছে? কি বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? ‘মর্নিং কনসাল্ট’ নামক এক মার্কিন ডেটা ইন্টেলিজেন্স ফার্মের তরফ থেকে যে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল তার রিপোর্ট কিন্তু সেরকম কোনো দাবি করছে না। সমীক্ষার রিপোর্ট দাবি করছে এই মুহূর্তে প্রায় ৬৬ শতাংশ মানুষ এখনো মোদিকেই সমর্থন করেন।
https://t.co/dQsNxouZWb
ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২৮ শতাংশ মানুষ অবশ্য মোদি সরকারের উপর থেকে ভরসা হারিয়েছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই এখনো তার উপর আস্থা রাখেন। সেই সংখ্যাটা প্রায় ৬৬ শতাংশের কাছাকাছি। ভারতের ২,১২৬ জন মানুষের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তা থেকেই কার্যত এই রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রাজিল, ফ্রান্সের মতো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরও পিছনে ফেলে দিয়েছেন মোদি।
‘গ্লোবাল অ্যাপ্রুভাল রেটিং ট্র্যাকার’-এ মোদির ঠিক নীচেই রয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। ইতালির ৬৫ শতাংশ মানুষ তার উপর আস্থা রেখেছেন। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদোর রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। ৬৩ শতাংশ মানুষ তার উপর ভরসা করেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। ৫৪ শতাংশ মানুষ তাকে সমর্থন করেন।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ৫৩ শতাংশ সমর্থন পেয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ৫৩ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ৪৪ শতাংশ ব্রিটিশ নাগরিক এই মুহূর্তে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপর ভরসা রেখেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন পেয়েছেন ৩৭ শতাংশ মানুষের সমর্থন।