করোনা র তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ইতিমধ্যেই যখন চিন্তা বেড়েছে সকল পরিবারের অভিভাবকের, তখন ইতিমধ্যে সেরো সার্ভে রিপোর্ট বলছে, মুম্বাইতে আঠারো অনুর্ধ দের মধ্যে ইতিমধ্যেই রয়েছে এই মহামারীর অ্যান্টি বডি। অর্থাৎ শিশুরা মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে উঠছে, আবার অনেক সময় উপসর্গ না থাকার কারণে মহামারীর উপস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছে না।
ইতিমধ্যেই টিকাকরণ শুরু হয়ে গেলেও অপ্রাপ্ত বয়স্করা এখনো টিকাকরনের আওতায় বাইরে রয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউতে ১৮ বছরের কম বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হবে এমন আশঙ্কা মানুষের মনে দানা বেঁধেছে। যদিও ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ পেডিয়াট্রাইক্স জানিয়েছেন, তৃতীয় ঢেউতে বাচ্চারা বেশি আক্রান্ত হবে তার কোন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। যে বাচ্চারা প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের ৯০% শিশুদের করোনা উপসর্গ একেবারেই ছিল না। মুম্বাইয়ের এই সার্ভিস শিশু বিশেষজ্ঞদের এই মত কে আরও একবার প্রতিষ্ঠা করল।
বৃহন্মুম্বই পুরসভার এই সেরো সার্ভেতে ১ এপ্রিল থেকে ১৫ জুনের মধ্যে ২,১৭৬ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে, ১০-১৪ বছর বয়সিদের ৫৩.৪৩ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি রয়েছে, আরো জানা গেছে,১৫-১৮ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে সেরো পজিটিভিটির হার ৫১.৩৯ শতাংশ আর এক থেকে চার বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে ৫১.০৪ শতাংশ। মার্চ মাসেও অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপর একটি সেরো সার্ভে চালিয়েছিল বৃহন্মুম্বই পুরসভা। তখন সেরো পজিটিভিটির হার ছিল ৩৯.৪ শতাংশ, যা এখন অনেকটাই বেড়েছে।
পুরসভার বক্তব্য অনুসারে, এই সার্ভের দ্বারা প্রমাণ হয়ে গেছে, দ্বিতীয় ঢেউতে ইতিমধ্যেই অনেক বাচ্চা সংক্রমিত হওয়ার পরেও সেরে উঠেছে। তাই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। এদিকে দেশের করোনা পরিসংখ্যানও কিছুটা স্বস্তি জাগিয়েছে মনের মধ্যে। সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন বলেছে, ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬,১৪৮ জন। তবে এখনো দেশের ৮০ টি জেলায় করোনা পজিটিভের রেট এখনো অনেকটাই বেশি। তাই এখন আমাদের অনেক সাবধান হয়ে চলতে হবে।