সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

উত্তর-পূর্বের পাহাড়ে খোঁ’জ মি’ল’লো ৪ প্রজাতির নতুন টিকটিকির, সা’ফ’ল্য পেলেন বাঙালি গবেষক

এক বাঙ্গালী গবেষক সম্প্রতি দেশের উত্তর-পূর্বের ২ টি রাজ্য থেকে আবিষ্কার করলেন নতুন ৪ টি প্রজাতির টিকটিকি। বাঙালি গবেষকের নাম জয়াদিত্য পুরকায়স্থ। এক আন্তর্জাতিক মানের বিজ্ঞানপত্রিকাতে এই আবিষ্কারে স্বীকৃতি সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। বাঙালি এই গবেষক দুটি দলে কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে একটি দল মিজোরামে এবং অন্যটি মেঘালযে ছিল। দুটি দলেই ছিলেন এই বিজ্ঞানী। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে এই প্রজাতির টিকটিকির হয়েছিলেন তারা। সম্প্রতি তাদের এই সাফল্যের স্বীকৃতি দিয়েছে বিজ্ঞান পত্রিকা জুট্যাস্কা।

মেঘালয়ে পাওয়া দুই নয়া প্রজাতির টিকটিকির নাম হল কার্স্ট ডোয়েলিং বেন্ট-টোড গেকো এবং আগরওয়ালস বেন্ট-টোড গেকো। কাস্ট মানে চুনাপাথর। যে এলাকা থেকে তাদের পাওয়া গেছে সেই এলাকার কথা ভেবে নামকরণ করা হয়েছে এই টিকটিকি গুলির। দক্ষিণ গারোর সিজুগ্রাম থেকে পাওয়া গেছে এদের। যেখান থেকে এই টিকটিকি গুলিকে পাওয়া গেছে, সেখানে প্রচুর চুনাপাথরের গুহা আছে। উত্তর-পূর্বের বাকি অংশের ওই এলাকায় আজও অনাবিষ্কৃত, এখনো ওই এলাকা থেকে বহু সরীসৃপের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মেঘালয় প্রচুর চুনাপাথর রয়েছে, যেহেতু চুনাপাথর থেকে সিমেন্ট তৈরি করা হয় তাই বড় বড় সিমেন্ট সংস্থা মেঘালয়তে কাজ করছে। মেঘালয় সবথেকে বেশি উত্তোলন করা হয় কয়লা এবং তারপর চুনাপাথর। এই এলাকায় প্রায় ১৪,৯৫৯ মিলিয়ন টন সিমেন্ট তৈরির চুনাপাথর রয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভারতের ৯ শতাংশ। প্রচুর পরিমাণে চুনাপাথর সংগ্রহের কাজ প্রতিনিয়ত করার ফলে মারাত্মকভাবে এই এলাকায় কমে যাচ্ছে সবুজের পরিমাণ। প্রতিবছর বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক প্রাণী।

ঈশান আগারওয়ালের নামে রাখা হয়েছে আগরওয়ালস বেন্ট-টোড গেকোর নাম। সরীসৃপ বিদ্যায় এই বিজ্ঞানীর অবদানের জন্য তাকে সম্মান জানানোর জন্য এই নামকরণ করা হয়েছে। মিজোরামে জেনোয়া প্রজাতির টিকটিকি পাওয়া গেছে, তার মধ্যে একটির নাম হল আরুন বওয়েরস বেন্ট-টোড গেকো। এটিকে পাওয়া যাচ্ছে আইজল শহরের আশে পাশের অঞ্চল থেকে। আরুন বয়েরো কে সম্মান জানিয়ে এই নামকরণ করা হয়েছে। তিনি টিকটিকির শ্রেণীবিন্যাস এর ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করেছেন। এই প্রসঙ্গে জয়দিত্য পুরকায়স্থ জানান, ওই এলাকার জীব-বৈচিত্র দেখলে যে কারো তাক লেগে যাবে। তবে নিয়ম না মেনে যদি সমানে উত্তোলন করা হয় তাহলে এইভাবে জীবজন্তু প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাবে।