সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মাছ শি’কা’র করতে গিয়ে ১৫ ভারতীয় ২ মাস ধরে নি’র্জ’ন দ্বীপে ব’ন্দি, ব্রিটিশ জাহাজের সাহায্যে ফিরলেন বাড়ি

ঝড় জল হোক কিংবা তুফান প্রকৃতির যেকোন বিপর্যয়কে তুরি মেরে উড়িয়ে দিয়ে তাদের কাজ হল মাছ ধরা। জীবনকে বাজি রেখে তারা মৃত্যুকেও হাসিমুখে উড়িয়ে দিতে পারেন। এভাবে কত মানুষ যে কত বিপদের মুখে পড়েছেন তার অন্ত নেই। মৃত্যুর মুখ থেকে অবশেষে ফিরে এলেন দুই মৎস্যজীবী তাদের গল্প কোন সিনেমার থেকে কম নয়।

গত ২৭শে নভেম্বর দক্ষিণ ভারতের উপকূল থেকে মাছ ধরবার জন্য রওনা দিয়েছিলেন এডিসন এবং অগাস্টিন নামের দুই মৎস্যজীবী বন্ধু। তাদের সঙ্গে দলে ছিলেন আরো পনেরো জন। পরিবারকে কথা দিয়েছিলেন বড়দিনের আগেই ফিরে আসবেন কিন্তু তারপর অনেকগুলো দিন কেটে গেলেও তারা আর ঘরে ফেরেনি। দিন যায় মাশ যায় তাদের কোন খোঁজ মেলে না।

বড়দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের দেখা নেই। নানান রকম আশঙ্কা সৃষ্টি হল তবে কি সমুদ্রের কোন ঘূর্ণিঝড়ে হারিয়ে গিয়েছেন তারা। কিংবা হয়তো দিক ভুলে গিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ২ রা জানুয়ারিতে ঘরে ফিরলেন তারা। জানিয়েছেন নৌকায় তাদের কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছিল। সেই কারণে ব্রিটিশ ভারত মহাসাগর এলাকার একটি নির্জন দ্বীপে তারা আটকে পড়েছিলেন।

আরো খবর: অনলাইনে কে’না জিনিস পৌঁ’ছে দেওয়ার ঠি’কা’না ভাইরাল, ভ্যাবাচ্যাকা খে’লো ডেলিভারি ব’য়

শেষে তাদের উদ্ধার করেন একটি ব্রিটিশ নৌকো। তামিলনাড়ুর থেঙ্গাপাত্তনাম বন্দর থেকে তারা রওনা দিয়েছিলেন। রওনা দেওয়ার সাত দিনের মাথায় তাদের নৌকোর ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায়। কিছুদিন পর তারা শ্রীলঙ্কার একটি মৎস্যজীবীদের নৌকো দেখতে পায়।

শ্রীলংকার ঐ নৌকো অগাস্টিনদের গভীর সমুদ্র থেকে অগভীর সমুদ্রে নিয়ে যান। কিন্তু শ্রীলঙ্কার নৌকো ভারতীয় জল সীমানায় প্রবেশ করতে পারে না। অনেক চেষ্টার পর তিন দিনের মাথায় ভারতের তরফ থেকে জবাব আসে। গিয়ার বক্সের সাহায্যে নৌকো তুলে দেন তারা। নোঙ্গর ফেলে দেন।

একটি দড়ির সাহায্যে যতদূর সম্ভব পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।কিন্তু বিপদের যেন কোন শেষ ছিল না। কারণ নৌকোর দড়ি মাঝপথেই খুলে যায়। আবারো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঈশ্বরকে ডাকা ছাড়া তখন কোন উপায় ছিল না বলেও জানিয়েছেন তারা।

অবশেষে অনেকটা দূরে জিপিএস এর মাধ্যমে একটি দ্বীপের সন্ধান পেয়েছিলেন তারা। ভারত থেকে দুজন মৎস্যজীবী এগিয়ে আসেন তাদের সাহায্য। ২ জানুয়ারি ভারতীয় উপকূল রক্ষীবাহিনীর হাতে ব্রিটিশ নৌবাহিনী তাদের সমর্পণ করেন। তারপর বাড়িতে ফেরেন ওই ১৫ জন মৎস্যজীবী। সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় পরিবারে ফিরে আসেন তারা।