ধনী ব্যক্তিদের বিয়ের ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশের দুই মডেল পিয়াসা এবং মরিয়ম আক্তার মৌয়ের বিরুদ্ধে। মৌ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, টাকা উপার্জন করার জন্য তিনি তার জীবনে বহুবার বিয়ে করেছেন। একবার দুবার নয়, পরপর ১১ বার বিয়ে করেছেন মৌ। এর মধ্যে একটি সম্পর্কও টেঁকেনি। বিয়ের পর প্রতিবার ডিভোর্সের সময় স্বামীদের থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, সুন্দরী মহিলাদের নিয়ে নাকি একটি গ্যাংও বানিয়ে ফেলেছিলেন তারা। সেই দলের সুন্দরী মহিলারা ধনী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে গোপন মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করে রাখতেন। পরে সেই নিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করা হতো। এভাবে ব্ল্যাকমেল করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছিলেন তারা। টাকা না দিলে ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন তারা। সেই ভয়ে অনেকেই তাদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলতেন।
বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে মডেলিং পেশার আড়ালে ব্ল্যাকমেলিং করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করতেন মৌ। তার সঙ্গেই আবার মাদক এবং অবৈধ ব্যবসাও ছিল তার উপার্জনের মাধ্যম। এসম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ রয়েছে পুলিশের হাতে। পাশাপাশি, পিয়াসার দেওয়ার তথ্যের উপর ভিত্তি করে মৌকে গ্রেফতার করা হয়। মোহাম্মদপুরে মৌয়ের নামে পাঁচতলা বিশাল বাড়ি রয়েছে। রয়েছে নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি।
একইসঙ্গে মাদক মামলাতেও জড়িয়ে পড়েছেন মৌ। মাদক মামলাতেই প্রধানত পিয়াসাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাকে জেরা করতেই তার কাছ থেকে মৌ সম্পর্কে অনেক গোপন তথ্য জানতে পারে পুলিশ। ঢাকার বারিধারায় একটি অভিজাত আবাসানের ২য় তলার ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন পিয়াসা। প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ গুনতে হতো ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সেই ফ্ল্যাটে তদন্ত চালিয়ে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
